নিজস্ব প্রতিবেদন: ইতিমধ্য়ে গোটা আফগানিস্তানের (Afghanistan) ক্ষমতা কায়েম করলেও পঞ্জশির (Panjshir) উপত্যকার দখল নিতে পারেনি তালিবান (Taliban)। জেহাদিদের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে  নর্দান অ্যালায়েন্স। পঞ্জশির (Panjshir) পুরোপুরি দখলে না আসায় সম্ভবত সেজন্য সরকার ঘোষণার দিন পিছিয়ে দিয়েছে তালিবান নেতৃত্ব। এই অবস্থায় কাবুলে গিয়ে তালিবান নেতাদের সঙ্গে দেখা করলেন পাক গুপ্তচর সংস্থা ISI-এর প্রধান জেনারেল ফইজ হামিদ (Gen Faiz Hameed)।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সংবাদ সংস্থা AP সূত্রে খবর, তালিবান নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ফইজ হামিদ (Gen Faiz Hameed)-এর সঙ্গে যায় পাক প্রশাসনের একটি প্রতিনিধি দল। কোন কৌশলে পঞ্জশির (Panjshir) দখলে নেওয়া যায়, তৈরি হয় সেই রণকৌশল। বৈঠকে ফইজ হামিদ (Gen Faiz Hameed) বলেন, "চিন্তার কারণ নেই। সব ঠিক হয়ে যাবে।" জানা গিয়েছে ওই বৈঠকে, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের মধ্যেকার নিরাপত্তা, বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা হয়। পাক গুপ্তচর সংস্থার প্রধানের সঙ্গে তালিবানদের এই বৈঠককে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে আন্তর্জাতিক মহল।


আরও পড়ুন: World Beard Day: আজ দাড়ি কামিয়েছেন? সাঙ্ঘাতিক ভুল করেছেন! কেন জানেন?


১৫ অগাস্ট কাবুল দখলের পর, ধীরে ধীরে আফগানিস্তান (Afghanistan) দখল করতে পারলেও পঞ্জশিরে (Panjshir) আধিপত্য বিস্তার করতে পারেনি তালিবান (Taliban)। দুর্গম পার্বত্য উপত্যকায় লড়াই করছেন আফগানিস্তানের প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি আমরুল্লাহ সালেহ (Former Vice President Amrullah Saleh), আহমেদ মাসুদ ও তাঁদের দলবল। পঞ্জশির প্রদেশে তালিবানদের সঙ্গে যুদ্ধ করছে নর্দান অ্যালায়েন্স। সেই পঞ্জশির তাদের দখলে এসেছে বলে শুক্রবার দাবি করে তালিবান (Taliban)। 


আরও পড়ুন: Baradar-এর নেতৃত্বেই নয়া Taliban সরকার! তাহলে তাঁর 'ভারত-নীতির'-দিকেই তাকিয়ে বিশ্ব


যদিও নর্দান অ্যালায়েন্স টুইট করে, 'কাবুলে কি টানছেন? পাকিস্তানের প্রভুদের খুশি করতে আমাদের আলো, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছেন। কান্দাহার মাদক টানা বন্ধ করার পরামর্শ দিচ্ছি।' এমনকী তাঁর পালানোর খবর মিথ্যা বলে দাবি করেছেন আমরুল্লাহ সালেহ (Amrullah Saleh)। বিবিসি-কে দেওয়া অডিয়োবার্তায় তাঁর দাবি, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন খবর। পঞ্জশির উপত্যকা থেকে কথা বলছি। রাজনৈতিক ও সৈন্যদের সঙ্গে রয়েছি। আমরা পরিস্থিতির মোকাবিলা করছি। তালিবান, আল কায়দা ও অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠন মিলে আক্রমণ করেছে। পঞ্জশিরে এক ইঞ্চি জমিও প্রতিরোধবাহিনী হারায়নি বলেও জানান সালেহ।