নিজস্ব প্রতিবেদন: ওআইসি-তে বিভাজনের হুমকি দেওয়ার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিল সৌদি আরব। ইমরান খান সরকারকে ঋণ হিসেবে জ্বালানি তেল সরবারহ করত সৌদি। এবার তা বন্ধ করে দেওয়া হল। সৌদির সঙ্গে পাকিস্তানের বিবাদের কেন্দ্রে সেই কাশ্মীর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-রাজস্থানে উদ্ধার এক সঙ্গে ১১ টি পাক হিন্দুর মৃতদেহ, ঘটনায় জোর চাঞ্চল্য


২০১৮ সালে ধুঁকতে থাকা দেশকে বাঁচানের জন্য সৌদির কাছ থেকে ৬.২ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেয় পাকিস্তান সরকার।  ওই ঋণের মধ্যে ৩.২ বিলিয়ন ডলার পাকিস্তানকে দেওয়া হয় তেল হিসেবে। চার মাস আগে ওই ঋণের ১ বিলিয়ন ডলার সৌদিকে ফেরত দিয়েছে ইমরান খান সরকার। তার পর গত দুমাস হল ওই ব্যবস্থার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন নতুন করে আর ওই পদ্ধতিতে ঋণ দিচ্ছে না সৌদি সরকার।


কেন এমন সিদ্ধান্ত সৌদির? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ওআইসি বা অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কান্ট্রিজ নিয়ে সৌদিকে হুমকি দেওয়ার পরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বেজায় চটেছে সৌদি সরকার। সম্প্রতি পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি এক টিভি টক শোতে বলেন,  কাশ্মীর নিয়ে সৌদি সরকার যদি ওআইসি-র বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক না ডাকেন তাহলে ইমরান খান নিজে তাঁর বন্ধু রাষ্ট্রগুলিকে নিয়ে কাশ্মীর নিয়ে বৈঠক করবে।


আরও পড়ুন-যুদ্ধক্ষেত্রে বহু করোনা রোগীকে বাঁচিয়ে 'শহিদ' ডাক্তার আসরাফ মীর


এদিকে, ওআইসি বহুবার কাশ্মীর নিয়ে কোনও আলোচনা করতে অস্বীকার করেছে। গত বছর কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদের পর থেকে ওআইসিতে কাশ্মীরের বিষযটি তোলার জন্য আদাজল খেয়ে লেগে রয়েছে পাকিস্তান। এনিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব পাস করাতে চাইছে ইমরান খান সরকার। কেন কাশ্মীর নিয়ে সৌদি মাথা ঘামাচ্ছে না তার একটি গুরুতর কারণও রয়েছে। তুরস্কের এরদোগান সরকারের সঙ্গে ইমরান খানের মাখামাখি খুব একটা ভালো চোখে দেখছে না সৌদি আরব।