নিজেস্ব প্রতিবেদন : মাস কয়েক আগের ঘটনা। বছর ১৫-র এক কিশোরের আক্রমণে চোখের নিচে কালী পড়ে গিয়েছিল ক্রাগো দম্পতির ছেলের। তারও বয়স ১৩ বছর। ঘটনার পর অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ক্রাগো দম্পতি পুলিসের দ্বারস্থ হন। কিন্তু, পুলিস তাদের সাফ জানিয়ে দেয় তারা এক্ষেত্রে কিছুই করতে পারবে না। কারণ দেশে এমন আইনের ধারা নেই যাতে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায়। হাজার প্রতিবাদ জানিয়েও লাভের লাভ হয়নি তাদের। তার কয়েকদিন পর ফের একই ঘটনা। আবারও আক্রান্ত এক কিশোর। আক্রমণকারী সেই নাবালক। ফের পুলিসের কাছে অভিযোগ দায়ের। উত্তরও এক। অবশেষে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নতুন পন্থা বের করলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর টোনাওয়ান্দা শহরের বাসিন্দারা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত কয়েকমাস ধরে গুটি কয়েক কিশোরের উপোদ্রবে অতিষ্ট ৩১ হাজার জনসংখ্যা বিশিষ্ট উত্তর টোনাওয়ান্দা শহর। মারধর থেকে ভাঙচুর সবই করে চলেছে তারা। কিন্তু, আইনি জটিলতার কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারছিল না প্রশাসন। ফল, ক্রমাগত অপরাধমূলক কাজ বেড়ে চলা।


আরও পড়ুন- ভারত নয়, দুর্নীতির কারণেই ভেস্তে যাবে সিপেক


অবশেষে বের করা হল উপায়। চলতি মাসেই শহরের একটা বড় অংশের বাসিন্দা ঠিক করেন, কোনও কিশোর বা কিশোর অপরাধমূলক কাজ করলে, তার শাস্তি ভোগ করতে হবে বাবা-মাকে। হতে পারে ১৫ দিনের জেল ও সেই সঙ্গে আর্থিক জরিমানা। সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পর, আইন পাশ করে তা গৃহীত হয়। যদিও, শুরুতে এই আইন সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে উত্তর টোনাওয়ান্দা শহরের বাসিন্দাদের জন্যই। ইতিমধ্যেই ক্রাগো দম্পতির অভিযোগের ভিত্তিতে এক দম্পতিকে জেলবন্দি হতে হয়েছে। ২৫০ ডলার জরিমানাও ভুগতে হয়েছে।