ওয়েব ডেস্ক:  দ্যা ডার্ক সাইড অব দ্যা মুন। ১৯৭৩তে রিলিজ হয়েছিল পিঙ্ক ফ্লয়েডের এই অ্যালবাম। লন্ডনে বসে গান বানালেও পিঙ্ক ফ্লয়েডের এই অ্যালবামের অনুপ্রেরণা কি কোনওভাবে চাঁদ? সত্যিই কি এই অ্যালবাম বানানোর আগে নিক ম্যাসন, রজার ওয়াটারসরা চাঁদের অন্ধকার থেকে শুনতে পেয়েছিলেন কোনও 'টিউন'? না, 'দ্যা ডার্ক সাইড অব দ্যা মুন' এর-সঙ্গে বাস্তবে চাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু একথা সত্যি যে চাঁদের অন্ধকার থেকে শোনা গিয়েছিল সঙ্গীতের মধুর ধবনি।
১৯৬৯-এ চাঁদের কক্ষপথে পাঠানো হয়েছিল অ্যাপোলো ১০। সেই সময় চাঁদের কক্ষপথে ভ্রমণ করার সময় অ্যাপোলো ১০-এর  মহাকাশচারীরা শনতে পান কিছু অদ্ভূত শব্দ। যা অনেকটা পৃথিবীর গানের মতো শুনতে। কিন্তু চাঁদে গান কে বাজাবে? প্রথমটায় সকলেই ভেবেছিলেন মনের ভুল। কিছুক্ষণ পরে তাঁরা বুঝতে পারেন যে আওয়াজটা সকলেই শুনছেন। অর্থাৎ ঘটনাটা মনের ভুল নয়। এমন অদ্ভূত ঘটনায় সকলেই অবাক হয়ে যান। বলব কি বলব না ভেবে ভেবে নাসাকে আর সেটা জানানো হয়নি। সম্প্রতি নাসা তাদের সায়েন্স চ্যানেলের একটি অনুষ্ঠানের জন্য ফাইল খুঁজতে গিয়ে পায় ১৯৬৯-এর সেই অভিযানের রেকর্ডিং আর সেখানেই হদিশ পাওয়া যায় চাঁদের গানের। এরপর অ্যাপোলো ১০-এর মহাকাশচারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা সেই ঘটনার বর্ণনা দেন। তবে ঠিক কী থেকে চাঁদে অমন অদ্ভূত সুর শোনা গিয়েছিল তার উত্তর সেদিনও ছিল না আজও নেই। চাঁদের গান এখনও বিস্ময়।