ওয়েব ডেস্ক: সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তানকে একযোগে কড়া বার্তা দিলেন নরেন্দ্র মোদী ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। শীর্ষ বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে সন্ত্রাসে লাগাম দিতে ইসলামাবাদকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। মুম্বই ও পাঠানকোট হামলায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের জন্যও পাকিস্তানকে বার্তা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পের কড়া অবস্থানে স্বস্তিতে সাউথ ব্লক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পাকিস্তানকে চাপ দিয়ে সবক শেখানোর কাজটা ওবামার আমলে সবটা হয়নি। এ বার হবে। ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ঢোকার পর এই একটা ব্যাপারে অন্তত আশাবাদী হয় সাউথ ব্লক। নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ট্রাম্পের প্রথম বৈঠকেই দেখা গেল সেই আশা ভুল ছিল না।


মোদী ওবামা যৌথ বিবৃতিতে মুম্বই হামলায় জড়িতদের দ্রুত শাস্তির কথা বলা হয়েছিল। মোদী-ট্রাম্প বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে বলা হল, জঙ্গিরা যাতে পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার করে অন্য দেশে হামলা চালাতে না পারে সেজন্য ইসলামাবাদকে ব্যবস্থা নিতে হবে। মুম্বই ও পাঠানকোট হামলা-সহ সব জঙ্গি নাশকতায় জড়িতদের দ্রুত শাস্তির জন্য উদ্যোগ নিতে হবে পাকিস্তানকে।


জঙ্গি দমনে একযোগে কাজ করার জন্য অঙ্গীকার করেন ২ রাষ্ট্রনেতা। সন্ত্রাস দমনে গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানে বাড়তি জোর। জলসীমানার নিরাপত্তা-সহ প্রতিরক্ষায় আরও সহযোগিতার অঙ্গীকার করা হয়েছে। ভারতীয় নৌ-সেনার জন্য দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের বাইশটি চালকবিহীন বিমান সরবরাহে ছাড়পত্র দিয়েছে ওয়াশিংটন। ন্যাটোর বাইরের দেশ হিসাবে ভারতই প্রথম গার্ডিয়ান ড্রোন পেতে চলেছে।


কয়েকদশক ধরে জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী হামলায় জড়িত হিজবুল মুজাহিদিন। মোদী-ট্রাম্প বৈঠকের আগে হিজবুল প্রধান সৈয়দ সালাউদ্দিনকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী হিসাবে চিহ্নিত করে ওয়াশিংটন। জঙ্গি নেতার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলেও জানানো হয়েছে। এ দিন আফগানিস্তান পুনর্গঠন এবং উত্তর কোরিয়া ইস্যুতেও ভারতকে পাশে নিয়ে চলার কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।