নিজস্ব প্রতিবেদন: আগামী সপ্তাহে কিরঘিজ়স্তানে বসছে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন সম্মেলন (এসসিও)। সেখানে মুখোমুখি বৈঠক হতে পারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনিপংয়ের। রবিবার, চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র লু কাং জানিয়েছেন, ১২ জুন থেকে ১৬জুন পর্যন্ত কিরঘিজ়স্তান সফরে যাচ্ছেন শি জিনপিং। সেখানে এসসিও-তে অংশগ্রহণ করবেন তিনি। বৈঠকের ফাঁকে মোদীর সঙ্গে সাক্ষাত্-ও করবেন জিনপিং।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


গত সপ্তাহে ভারতের তরফেও চিনা রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয় জানানো হয়। চিনে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম মিসরি জানান, গত বছর এসসিও সম্মলনে ভারত ও চিনের রাষ্ট্রপ্রধানের ‘সাইডলাইন’ বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ৭৩ দিনের ডোকলাম ইস্যুতে ভারত ও চিনের কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। এর পর নয়া দিল্লির তত্পরতায় ক্ষতে প্রলেপ দেওয়া হয়। মোদী তাঁর ৫ বছরের প্রধানমন্ত্রীত্বকালে ৪ বার সাক্ষাত্ করেন শি জিনপিংয়ের সঙ্গে। ভারত-চিন সীমান্ত ইস্যু, সন্ত্রাস-সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয় তাঁদের। গত বছর ডিসেম্বরে আর্জেন্টিনায় জি ২০ সম্মেলনেও তাঁদের সাক্ষাত্ হয়।


আরও পড়ুন- জঙ্গিহানার পর এই প্রথম কোনও রাষ্ট্রপ্রধান শ্রীলঙ্কায়, ইস্টার বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত গির্জায় শ্রদ্ধা জানালেন মোদী


উল্লেখ্য, পুলওয়ামা হামলার মূল চক্রী জইশ প্রধান মাসুদ আজহারকে ‘আন্তর্জাতি জঙ্গি’ ঘোষণায় চিন যে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল, দক্ষ হাতে সামাল দিয়েছে মোদী সরকার। বিশেষজ্ঞদের মতে, কূটনৈতিক চাপেই মাসুদকে শেষমেশ জঙ্গি তকমা দিতে সম্মতি জানায় চিন। এর পিছনে মোদীর বিদেশ সফরের সাফল্য খুঁজে পাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। দ্বিতীয়বার সরকারে আসতেই ফের মোদী বিদেশ সফরে বেরিয়ে পড়েছেন। এই মুহূর্তে তিনি রয়েছেন শ্রীলঙ্কায়।