নিজস্ব প্রতিবেদন : বাসমতি চাল ছাড়া এবার ভারত থেকে অন্য জাতের চাল কিনবে চিন। সাংহাই কো-অপরেশন অর্গানাইজেশনের শীর্ষ সম্মলনে যোগ দেওয়ার আগে সেখানে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্যচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আগামী ২০২০ সালের মধ্যে এই লক্ষ্য পূরণ করা হবে বলে দুই দেশ স্থির করেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সাংহাই কো-অপরেশন অর্গানাইজেশনের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়ার পর এবারই এই শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছে ভারত। তার আগে টুইটে নিজের সেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বর্তমানে ভারত ছাড়াও সাংহাই কো-অপরেশন অর্গানাইজেশনের সদস্য চিন, রাশিয়া, কাজাকস্থান, কিরঘিজস্থান, তাজিকস্থান, উজবেকিস্থান ও পাকিস্তান।


আরও পড়ুন- দু'দিনের সাংহাই কো-অপারেশনের বৈঠকে যোগ দিতে চিন রওনা হলেন নমো


দুদিনের এই সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে ভারত ও চিনের দুই শীর্ষ নেতা ফের একবার ঘরোয়া বৈঠকে যোগ দেন। ডোকা লা ইস্যুতে ভারত-চিন সীমান্তে ছাই চাপা আগুন নেভাতে উদ্যোগী দুই দেশ। আর তারই ছাপ স্পষ্ট দেখা গেল ছ'সপ্তাহের মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়া এই দ্বিতীয় বৈঠকে। অত্যন্ত ঘরোয়া বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে দুটি মউ স্বাক্ষরিত হয়। একটি ব্রহ্মপুত্রের জল সংক্রান্ত তথ্য আদানপ্রদান নিয়ে। এই মউ স্বাক্ষরিত হওয়ার ফলে ব্রহ্মপুত্রের জলে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট এলাকায় সেচ ও পানীয় জলের সমস্যা মিটবে বলে মনে করা হচ্ছে। ডোকালা ইস্যুর সময় থেকেই চিন এই তথ্য দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল।


দ্বিতীয় মউটি স্বাক্ষরিত হয় ভারতের থেকে চাল কেনা নিয়ে। এখন ভারতের থেকে শুধুমাত্র বাসমতি চাল কেনে চিন। এবার দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ঘাটতি মেটাতে ভারতের থেকে অন্য চাল কিনতেও রাজি হয়েছে তারা।


আগামী ২০১৯-এর ভারত সফরে আসবেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সেই সময় দুই দেশের মধ্যে একাধিক ইস্যুতে মউ স্বাক্ষরিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।