Titanic`s Wreck: জানা গেল অতল মহাসমুদ্রের গভীরে কী ভয়ংকর কাণ্ড ঘটল টাইটানিক দেখতে যাওয়া সাবমেরিনটির...
Titanic`s Wreck: গত রবিবার আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল টাইটান। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তলদেশের উদ্দেশে যাত্রা শুরুর পৌনে দুই ঘণ্টার মাথায় নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে সাবমেরিনটির যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সমুদ্রের তলদেশের ওই জায়গার পরিবেশ অবিশ্বাস্য রকমের প্রতিকূল। অন্তত তেমনই জানা গিয়েছে সংশ্লিষ্ট কোস্ট গার্ডদের থেকে। আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখার লক্ষ্যে যে সাবমেরিনটি গিয়েছিল সেখানে, সেটি কদিন নিখোঁজ ছিল। অবশেষে তার যাত্রার করুণ সমাপ্তির কথা জানা গেল। জানা গিয়েছে, মহাসমুদ্রের নীচে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছে সাবমেরিন টাইটান। বলা হচ্ছে, মহাসাগরের তলদেশে এক বিপর্যয়কর বিস্ফোরণ ঘটে এরকম হয়েছে।
আরও পড়ুন: Gonkoken nanoi: চিলিতে মিলল ১ টন ওজনের কয়েক মিটার লম্বা ডাইনোসর! কোথা থেকে এল?
এই খবর আসার আগের চারদিন মহাসাগরের তলদেশে ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়েছে। সাবমেরিনটিকে অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায় কি না, আরোহীদের জীবিত উদ্ধার করা যায় কি না-- এমন আশায় এই তল্লাশি অভিযানের দিকে তাকিয়ে ছিল সারা বিশ্ব। গত রবিবার আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল টাইটান। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তলদেশের উদ্দেশে যাত্রা শুরুর পৌনে দুই ঘণ্টার মাথায় নিয়ন্ত্রণকেন্দ্রের সঙ্গে সাবমেরিনটির যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
অনুসন্ধানকারী দল আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষের আশপাশেই সাবমেরিন টাইটানেরও কিছু ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাওয়ার কথা জানায়। এ খবর শুনে মার্কিন নৌবাহিনী এখন বলছে, এই ধরনের কিছু শব্দ তখনই শুনতে পেয়েছিল তারা, কিন্তু সাবমেরিন বিস্ফোরণ ঘটেই যে এমন শব্দ, তা তারা ঘুণাক্ষরেও আঁচ করতে পারেননি! টাইটানের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পরেই বিপর্যয়কর এক বিস্ফোরণ ঘটে সাবমেরিনটিতে। এর জেরে সেটি ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায়।
কেন বিস্ফোরণ?
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, জলের নীচে বিস্ফোরণ নানা কারণে ঘটতে পারে। তবে এক্ষেত্রে সম্ভবত যানটি সমুদ্রের তলদেশের দিকে যাওয়ার সময়ে জলের প্রচণ্ড চাপের মুখে হঠাৎ করে ভেঙে খান খান হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞেরা আরও জানান, টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ যেখানে আছে, সেখানে প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে প্রায় ৫ হাজার ৬০০ পাউন্ড চাপ। ভূপৃষ্ঠে মানুষ যে চাপ অনুভব করে, এই চাপ তার চেয়ে কয়েকশো গুণ বেশি। তবে দুর্ঘটনার সময়ে টাইটানের অবস্থান কোথায় ছিল, সমুদ্রের কতটা গভীরে সেটি ছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ঘটনায় যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের লাশ উদ্ধার হওয়ার সম্ভাবনা কম।
আরও পড়ুন: Himalayan Glaciers: ধেয়ে আসছে ভয়ংকর প্লাবন! দ্রুত গতিতে গলছে হিমালয়ের হিমবাহ...
১৯১২ সালে ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্ক যাওয়ার জন্য প্রথম সমুদ্রযাত্রায় রওনা দিয়েছিল টাইটানিক। যাত্রাপথে আইসবার্গের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আটলান্টিকে ডুবে গিয়েছিল জাহাজটি। ১৯৮৫ সালে কানাডা উপকূল থেকে প্রায় ৬৫০ কিলোমিটার দূরে প্রথমবার আবিষ্কার করা গিয়েছিল টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ।