আগুন! লকডাউনের দোহাই দিয়ে তবুও বাড়ি থেকে বেরোতে দেওয়া হল না; মৃত ১০...
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োতে বিক্ষোভকারীদের ‘লকডাউন তুলে নাও’ স্লোগান দিতে শোনা গিয়েছে। শুক্রবার রাতভর সেখানে বিক্ষোভ হয়েছে। পরে শহর কর্তৃপক্ষ লকডাউন তুলে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে বিক্ষোভকারীরা ঘরে ফেরেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাড়িতে আগুন লেগেছে, কিন্তু সংশ্লিষ্ট এলাকায় লকডাউন চলছে বলে বেরোতে দেওয়া হল না সেই বাড়ি থেকে। হাড়হিম করা এই ঘটনা ঘটেছে চিনের জিনজিয়াং অঞ্চলে। চিনে নতুন করে করোনা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। এজন্য দেশটির কোথাও কোথাও লকডাউনের নির্দেশ দিয়েছিল সরকার। করোনাজনিত এই লকডাউনের মাঝেই জিনজিয়াংয়ের উরুমকি শহরের এক বাড়িতে ঘটল অগ্নিকাণ্ড। ১০ জনের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। এরপর সেখানকার বাসিন্দারা রাস্তায় নেমে লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভ করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োতে বিক্ষোভকারীদের ‘করোনার লকডাউন তুলে নাও’ স্লোগান দিতে শোনা গিয়েছে। শুক্রবার রাতভর সেখানে বিক্ষোভ হয়েছে। পরে শহর কর্তৃপক্ষ লকডাউন তুলে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে বিক্ষোভকারীরা ঘরে ফেরেন। বিক্ষোভকারীরা উরুমকির পথে-পথে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। বিক্ষোভ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য সতর্ক ছিল পুলিস।
আরও পড়ুন: পুতিন একটা আস্ত গর্দভ! ইউক্রেনে আমরা একজন ফ্যাসিস্টেরও দেখা পাইনি: বিস্ফোরণ রুশ সেনার
আগস্টের শুরু থেকে শহরটিতে করোনা-বিধিনিষেধ চলছে। সম্প্রতি তা আরও জোরদার করা হয়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেছেন, আগুন লাগার পরেও ওই বাড়ির বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বেরতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। এ কারণে লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখান। চিনের সংবাদমাধ্যমের খবর, ঘটনার পরে শুক্রবার উরুমকি শহর কর্তৃপক্ষ সেখানকার বাসিন্দাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে। এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, অগ্নিকাণ্ডে ওই আবাসিক ভবনে ১০ জন মারা যাওয়ার পাশাপাশি অন্তত নজন আহত হয়েছেন। বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকেই ছড়ায় আগুন। অগ্নিকাণ্ডের পরে সেখানকার বাসিন্দাদের দাবি, লকডাউনের কারণে অগ্নিনির্বাপণকর্মীদের কাজ বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। তা না হলে আরও দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হত।
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ‘জিরো করোনা’ নীতি নিয়েছে চিন সরকার। তা সত্ত্বেও সে দেশে নতুন করে সংক্রমণ বেড়েছে। বুধবার চিনে একদিনে ৩১ হাজার ৪৪৪ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন! এই হিসাবে দেশের বাইরে থেকে আসা রোগীদের ধরা হয়নি। প্রায় তিন বছর আগে দেশটিতে মহামারি শুরু হওয়ার পর এটাই এক দিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণের রেকর্ড।