ওয়েব ডেস্ক : জ্বালাময়ী ভাষণে ইনিংস শুরু করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্য দেশের আবর্জনা আর বইবে না আমেরিকা। আমেরিকায় চাকরি পাবেন শুধু মার্কিনিরাই। পৃথিবীর বুক থেকে মুছে ফেলা হবে ইসলামি সন্ত্রাস। শপথের পরেই হুঙ্কার পঁয়তাল্লিশতম মার্কিন প্রেসিডেন্টের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিক্ষোভ, বিতর্ক আর অশান্তিতে দেশ উত্তাল। প্রাচীনতম গণতন্ত্রের সিংহভাগ মানুষই তাঁকে চান না। বেনজির পরিস্থিতিতে শপথ নিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ব্রেকফাস্টের পর চার্চে প্রার্থনা তারপর হোয়াইট হাউসে চায়ের নেমতন্ন। সবই প্রোটোকল। সাদা বাড়ির সিঁড়িতে অপেক্ষা করছিল ওবামা দম্পতি। মিশেলের হাতে দামি জুয়েলারি সেট তুলে দেন মেলানিয়া। ভিতরে একান্তে আলোচনা করেন দুই প্রেসিডেন্ট। একজন বিদায়ী, অন্যজন ভাবী।


এরপরই ক্যাপিটল হিলে শপথ। সাক্ষী রইলেন ৯ লক্ষ মানুষ। VVIP-দের তালিকায় কূটনীতিক, বিচারপতি, আমলা, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিরা এবং গোটা ট্রাম্প পরিবার। আমজনতার ভিড়ে হাজারো প্রতিবাদী। ট্রাম্পকে শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস। শপথের পর সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা দেন নতুন রাষ্ট্রপতি। তবে শপথ নিলেও ট্রাম্পের পথ চলা যে মসৃণ হবে না বুঝিয়ে দেন তাঁর বিরোধীরা। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পরপরই আমেরিকার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। বাদ যায়নি ওয়াশিংটনও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানকার রাস্তায় কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে হয় পুলিসকে। বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় ট্রাম্প বিরোধীরা। চলে ইটবৃষ্টিও।


কুড়ি মিনিটের শপথ অনুষ্ঠানের পর ওবামা দম্পতি চলে যায় তাদের অবসরের ঠিকানায়। এবং শোভাযাত্রা করে ট্রাম্প পরিবার পৌঁছায় হোয়াইট হাউসে। তাদের আগামী চার বছরের ঠিকানা। ঐতিহ্যবাহী ওভাল অফিসের ডেস্কে খামবন্দি একটি চিঠি পান ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিদায়ী ওবামার শেষ বার্তা। কী লেখা রয়েছে? তা কেউ কোনওদিন জানবে না। আমেরিকান সিক্রেট!


আরও পড়ুন, ওবামার জমানার ৫০ বিশ্বস্ত আধিকারিকের ওপরই আপাতত ভরসা ট্রাম্পের!