Iran: মাহসা আমিনির পুলিসি হেফাজতে মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ ইরানে, সমালোচনার ঝড়...
ইরানে মহিলাদের বাধ্যতামূলক হিজাব পরা-সহ নানা কঠোর পোশাকবিধি বহাল। সে দেশের নীতিপুলিসের দল এসব বিধি কার্যকর হচ্ছে কি না, তা তদারকি করে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মাহসা আমিনির বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঝড় উঠেছে ইরানে তথা গোটা বিশ্বে। তেহরানে শনিবার সন্ধ্যার দিকে লোকজনকে সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা গিয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, নিরাপত্তা হেফাজতে মাহসা আমিনির সন্দেহজনক মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ইরানবিষয়ক দূত রবার্ট ম্যালি এক টুইট-পোস্টে বলেছেন, আমিনির মৃত্যুর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। আমিনির মৃত্যুকে একরকম 'হত্যাকাণ্ড' হিসেবেই উল্লেখ করেছেন ইরানি আইনজীবী সাইদ দেহঘান। তিনি বলেছেন, আমিনি মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন এবং তাঁর মাথার খুলির মূল অংশ ফেটে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: নীতি পুলিসের হাতে নিহত ১, হাসপাতালে মৃত্যু ২২ বছরের মাহসার
ইরানে পুলিসি হেফাজতে থাকা অবস্থায় এক মহিলার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সমালোচনার ঝড় বিশ্বে। কঠোর পোশাকবিধি সংক্রান্ত আইনের আওতায় আটক হওয়ার পরে শুক্রবার মাহসা আমিনি নামের ২২ বছর বয়সি ওই তরুণীর মৃত্যু ঘটে। এই ঘটনাকে সন্দেহজনক বলছেন মানবাধিকারকর্মীরা। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। ইরানে জনসমক্ষে মহিলাদের বাধ্যতামূলক হিজাব পরা-সহ নানা কঠোর পোশাকবিধি রয়েছে। সে দেশের নীতিপুলিসের দল এ সব বিধি কার্যকর হচ্ছে কি না, তা তদারকি করে। এ বিধির আওতায় ইরানের নীতিপুলিস মঙ্গলবার মাহসা আমিনিকে তেহরান থেকে আটক করেছিল। আমিনি তাঁর পরিবারের সঙ্গে তেহরান সফরে গিয়েছিলেন। গ্রেফতারের পরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর দেহ পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। আটকের আগে আমিনি সুস্থই ছিলেন। এদিকে আটক হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এবং পরে মৃত্যু হয়। একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আমিনি মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন।
শনিবার তেহরান পুলিসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, পোশাকবিধি নিয়ে নির্দেশ দিতে অন্য নারীদের পাশাপাশি আমিনিকেও মঙ্গলবার থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তিনি হঠাৎই হলরুমে অজ্ঞান হয়ে যান। আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু করতে ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন।