Dubai Roads Flooded: প্রবল বৃষ্টি বজ্রপাত আর বন্যায় বিপর্যস্ত মরুদেশ, জারি সতর্কতা...
Dubai Roads Flooded: দুবাইয়ে প্রবল বৃষ্টি, আর তার জেরে বন্যা। বৃষ্টি ও বজ্রপাতে বিপর্যস্ত মরুদেশ। দুবাই প্রশাসনের তরফে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য জারি করা হয়েছে বিশেষ সতর্কতাও।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দুবাইয়ে প্রবল বৃষ্টি, আর তার জেরে বন্যা। বৃষ্টি ও বজ্রপাতে বিপর্যস্ত মরুদেশ। দুবাই প্রশাসনের তরফে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য জারি করা হয়েছে বিশেষ সতর্কতাও। দুবাই পুলিস ফ্ল্যাশফ্লাডের আশঙ্কা আছে, এমন জায়গা থেকে লোকজন সরিয়ে দিচ্ছে। অঞ্চল বিশেষে জারি করা হয়েছে হলুদ ও কমলা সতর্কতা। দুবাইয়ের পথঘাট জলে ডুবে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Earthquake Hits Afghanistan: এবার কেঁপে উঠল আফগানিস্তান, কাঁপল জম্মু-কাশ্মীরও...
২০২৩ সালটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের দিক থেকে নানা কারণে স্মরণীয় হয়ে থাকছে। কখনও মারাত্মক তাপপ্রবাহ, কখনও বিপুল বৃষ্টি, কখনও প্রবল বন্যা, কখনও ভয়ংকর দাবানল, কখনও বিধ্বংসী ভূমিকম্প, কখনও ভয়াবহ মেঘভাঙা বৃষ্টি। ক্ষয়ক্ষতি, মৃত্যু, ধ্বংসের কোনও শেষ নেই। সবচেয়ে উষ্ণতম বছরের মুকুট ইতিমধ্যেই অর্জন করেছে ২০২৩ সালে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ু পরিবর্তন পরিষেবা অনুসারে, বায়ুর বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা অক্টোবর ২০১৯-এর আগের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার তুলনায় ০.৪ সেন্টিগ্রেড বেশি উষ্ণ ছিল এ বছর!
এদিকে কার্বন নির্গমন এবং এল নিনো ঘটার কারণে চলতি বছরের অক্টোবর ছিল রেকর্ড উষ্ণতার সারিতে পঞ্চম মাস।
গবেষকরা বলেছেন, এই চরম বৈশ্বিক তাপমাত্রা সম্ভবত ২০২৪ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। তবে ২০২৩ সালই এখনও পর্যন্ত রেকর্ড করা সবচেয়ে উষ্ণতম বছর হতে চলেছে। আগেই বলা হয়েছিল, ২০২৩ সালের শেষ দুই মাসও এমনই থাকবে।
সেই ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি করেই যেন বিপর্যয় নেমে এল মরুদেশে। বৃষ্টি বন্যা বজ্রপাতে বিপর্যস্ত দুবাই।
প্রসঙ্গত, এ বছর সবই অদ্ভুত ঘটছে। এ বছরের জুলাই এতই উষ্ণ ছিল যে, এটি গত ১ লক্ষ ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণ মাস বলে স্বীকৃতি পেয়েছিল। আবার কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসের মতে, অক্টোবর মাস সেপ্টেম্বরের মতো অস্বাভাবিকভাবে গরম ছিল না। মাসটিতে প্রাক-শিল্প গড়ের তুলনায় ১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেশি ছিল। এবং আশ্চর্যজনক ভাবে ২০২৩ সালের সবচেয়ে উষ্ণতম মাস ছিল অক্টোবরই! এল নিনোর কারণে ১৯৫০ সালের পর থেকে পানামা খাল সবচেয়ে শুষ্ক দেখা গিয়েছে এই অক্টোবরেই। মধ্যপ্রাচ্যের কিছু অংশও খরার কবলে পড়েছে। পূর্ব আফ্রিকা মারাত্মক বন্যার কবলে পড়েছিল।
বিশ্বব্যাপী উষ্ণ তাপমাত্রা চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্তও অব্যাহত রয়েছে। নভেম্বরে প্রথমবারের মতো ইউরোপ ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রার মুখোমুখি হয়েছে। গ্রিসের বেশ কয়েকটি অংশেও তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল।