Xi Jinping-Joe Biden Meeting: মুখোমুখি বাইডেন-জিনপিং! সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হল...
Xi Jinping-Joe Biden meeting: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চিনের প্রেসিডেন্ট জি জিন পিংয়ের বৈঠক তেমনই একটা ব্যাপার। যা অনুষ্ঠিত হল গতকাল বুধবার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো শহরে এই দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে বৈঠকটি হল।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দুই মহাক্তিধর দেশ। সারা বিশ্ব জানে, তারা বহুকাল ধরে পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী। দুজনের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলে সারা বছরই। তাই তারা যখন পরস্পরের মুখোমুখি হয়, তার দিকে সারা বিশ্বের নজর থাকে। এবং সেই সাক্ষাৎও একটা আলাদা মাত্রাও পেয়ে যায় শুরু থেকেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চিনের প্রেসিডেন্ট জি জিন পিংয়ের বৈঠক তেমনই একটা ব্যাপার। যা অনুষ্ঠিত হল গতকাল বুধবার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো শহরে এই দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে বৈঠকটি হল। প্রায় চার ঘণ্টা বৈঠকটি চলে। গত এক বছরে এই প্রথম মুখোমুখি জি-বাইডেন।
জি'র সঙ্গে এই বৈঠককে অন্যতম গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ বৈঠক হিসেবে বর্ণনা করেছেন স্বয়ং বাইডেন। তিনি বলেছেন, এটা ঠিক যে, বৈঠকে তাঁরা সব সময় সবকিছুতে একমত হননি, তবে জি'র সঙ্গে তাঁর গোটা আলোচনাটাই খুব সহজ স্রোতের মতো বহমান ছিল।
বৈঠকে জিনজিয়াং, তিব্বত ও হংকংয়ে চিনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার উদ্বেগের কথা তুলে ধরেছে। চিনে আটক মার্কিন নাগরিকদের বিষয়টিও জির কাছে উত্থাপন করেন বাইডেন। এ বিষয়ে দুপক্ষের মধ্যে কোনো চুক্তি না হলেও তাঁদের মুক্তির আশাই পোষণ করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। জির সঙ্গে বৈঠকে তাইওয়ানের বিষয়েও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের নীতি ফের একবার মনে করিয়ে দিয়েছে চিনকে।
বৈঠকে চিনও নানা প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছে। চিনকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দমন করা বা আটকানোর কোনও পরিকল্পনা থেকে বিরত থাকতে যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছেন জি জিনপিং। জি বাইডেনকে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাওয়া বা স্থানচ্যুত করার কোনো পরিকল্পনাই তাঁদের নেই। তাই যুক্তরাষ্ট্রেরও উচিত হবে না, চিনকে দমন করা বা আটকানোর পরিকল্পনা করা। বরং উভয়েরই উচিত হবে উভয় পক্ষের নীতি বোঝা।
আরও পড়ুন: Earthquake Hits Pakistan: আতঙ্ক! এবার কেঁপে উঠল পাকিস্তানও, শ্রীলঙ্কা ও লাদাখের পরে ফের...
জানা গিয়েছে, বৈঠকে তাইওয়ান, ইউক্রেন, মধ্যপ্রাচ্য নিয়েও দুই নেতার মধ্যে কথা হয়েছে। দুই নেতার বৈঠকে দুই দেশই তাদের উচ্চপর্যায়ের সামরিক যোগাযোগ ফের চালু করতে রাজি হয়েছে। মোটকথা, বৈঠকে দুই নেতাই পারস্পরিক শ্রদ্ধা, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও মসৃণ যোগাযোগ বজায় রাখার উপর জোর দিয়েছেন। জোর দিয়েছেন যে কোনও ধরনের সংঘাত রোধের প্রয়োজনীয়তার উপরও।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)