Sri Lanka Crisis: দ্বীপরাষ্ট্রে জল্পনার অবসান, রনিলেই আস্থা শ্রীলঙ্কার
শ্রীলঙ্কার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংহে বলেছেন, দেশ খুব কঠিন পরিস্থিতিতে রয়েছে এবং তাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। নির্বাচনে ২২৩টি ভোটের মধ্যে ২০১৯টি ভোট বৈধ বলে বিবেচিত হয়। ২ জন সাংসদ ভোট দেননি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহেকে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করেছে। গোটাবায়া রাজাপক্ষের জায়গা নেবেন অষ্টম রাষ্ট্রপতি রনিল। বিক্রমাসিংহে পেয়েছেন ১৩৪ ভোট, তার প্রতিদ্বন্দ্বী দুল্লাস আলাহাপেরুমা পেয়েছেন ৮২ ভোট।
শ্রীলঙ্কার ছয় বারের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে বুধবার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন। আগের রাষ্ট্রপতি গোটাবায়া রাজাপক্ষে সঙ্কট-বিধ্বস্ত দেশ থেকে পালিয়ে যান এবং গত সপ্তাহে পদত্যাগ করেন। সরকারি ফলাফলে দেখা গেছে বিক্রমাসিংহে ত্রিমুখী লরাইয়ে ১৩৪ ভোট পেয়েছেন। তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ দুল্লাস আলাহাপ্পেরুমা ৮২ ভোট পেয়েছেন এবং বামপন্থী অনুরা দিসানায়েকে মাত্র তিনটি ভোট পেয়েছেন।
শ্রীলঙ্কার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংহে বলেছেন, দেশ খুব কঠিন পরিস্থিতিতে রয়েছে এবং তাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। নির্বাচনে ২২৩টি ভোটের মধ্যে ২০১৯টি ভোট বৈধ বলে বিবেচিত হয়। ২ জন সাংসদ ভোট দেননি।
শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষেকে সংসদ ভবনের ভিতরে দেখা যায়। অন্যান্য সাংসদদের সঙ্গে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য ভোট দেন তিনি। মাহিন্দা রাজাপক্ষে প্রাক্তন মন্ত্রী নমাল রাজাপক্ষে, প্রাক্তন স্পিকার চামাল রাজাপক্ষে, তিলক রাজাপক্ষে, শশেন্দ্র রাজাপক্ষে এবং গুনাতিলকা রাজাপক্ষের সাথে একসঙ্গে নিজের ভোট দিয়েছেন। এরা সবাই সিঙ্গাপুরে পালিয়ে যাওয়া গোটাবায়া রাজাপক্ষে এবং বাসিল রাজাপক্ষের আত্মীয়।
আরও পড়ুন: International Moon Day: আর্মস্ট্রং, অলড্রিন সেদিন চাঁদে কত ঘণ্টা কাটিয়েছিলেন জানেন?
বুধবার মোট ২২৫ জন সংসদ সদস্য ভোট দেওয়ার যোগ্য ছিলেন। এই নির্বাচন বিক্রমসিংহে, দুল্লাস আলাহাপেরুমা এবং বামপন্থী ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার পার্টির নেতা অনুরা কুমারা দিসানায়েকের মধ্যে একটি ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল।
বিশ্লেষকরা বলছেন যে শুরু থেকেই দৌড়ে আগে ছিলেন রনিল বিক্রমাসিংহে। তিনি ছয় বারের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। গোটাবায়ার পদত্যাগের পরে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হন তিনি। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা তাকে রাজাপক্ষের মিত্র হিসাবে দেখেন। ফলত তাঁর নির্বাচনের পরে দেশের মানুষের ক্ষোভ প্রশমিত হওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করছেন সকলে।