ব্যুরো: বিলুপ্তপ্রায় পার্সিয়ান বা ককেসিয়ান চিতার সংরক্ষণ এবং সংখ্যা বাড়াতে বিশেষ উদ্যোগ নিল ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড। জঙ্গলের স্বাদ ফিরিয়ে দিতে সোচির ৭০ কিলোমিটার উত্তরে ঘন জঙ্গলে ছাড়া হল তিনটি পার্সিয়ান চিতাকে। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।


পাকিস্তানি মডেল খুনে গ্রেফতার হলেন তাঁরই ভাই ওয়াসিম


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আদিম অরণ্যের স্বাদ ওরা পায়নি বহুদিন। তাই সেই চেনা পরিবেশেই ওদের ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হল। লুপ্তপ্রায় প্রজাতির তিনটি পার্সিয়ান চিতাকে ছাড়া হল রাশিয়ার পশ্চিম ককাস এলাকার ঘন অরণ্যে।


পার্সিয়ান চিতা ককেসিয়ান চিতা নামেও পরিচিত। একসময় পাহাড়ি এলাকায় প্রচুর পার্সিয়ান চিতার দেখা মিলত। কিন্তু উনিশশো পঞ্চাশের পর থেকে কমতে থাকে চিতার এই প্রজাতি। ওই পাহাড়ি এলাকায় একটা সময় মানুষের আনাগোনা বাড়তে থাকে। মানুষের পা পড়ার পর থেকে কমতে থাকে পার্সিয়ান চিতার সংখ্যা। 


বিলুপ্তপ্রায় চিতার এই প্রজাতিকে বাঁচাতে উদ্যোগী হয়েছে ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ডের রাশিয়ান শাখা। যে কয়েকটি পার্সিয়ান চিতা এখনও অবশিষ্ট রয়েছে, তার মধ্যে তিনটিকে জঙ্গলের স্বাদ ফিরিয়ে দিল এই সংস্থা। চিতাগুলিকে বনে ছাড়ার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে তারা। ২০১৪ শীতকালীন অলিম্পিকের আসর বসেছিল যেখানে, সেই সোচির ৭০ কিলোমিটার উত্তরে ঘন জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হল চিতাগুলোকে। যেখানে যাওয়ার একমাত্র উপায় হেলিকপ্টার। সংস্থার দাবি, ওই জঙ্গলে অন্তত ৫০টি পূর্ণবয়স্ক পার্সিয়ান চিতাকে পাঠাতে হবে। যাতে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পার্সিয়ান চিতার সংখ্যা বাড়তে পারে। যে তিন চিতার পদধূলিতে এই উদ্যোগের সূচনা শুরু হল, তাদের নাম রাখা হয়েছে ভিক্টোরিয়া, আখুন এবং কিল্লি। এই তিন চিতার গলায় লাগানো হয়েছে জিপিএস কলার। প্রয়োজনে যাতে তাদের কাছে পৌছতে পারেন চিকিত্সকরা।  


পার্সিয়ান চিতার সংখ্যা বাড়ানোর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।