জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তিব্বতের সঙ্গে চিনের নানা প্রশ্নে বিরোধ। এবার কোভিড-প্রশ্নেও দেখা গেল সেই বিরোধ। কোভিড অতিমারির ভয়াবহতা থেকে অনেকটাই মুক্ত হয়েছে বিশ্ব। কমেছে মৃত্যুর সংখ্যা, সংক্রমণের হারও। কিন্তু চিনে অন্য পরিস্থিতি। তিব্বতের আঞ্চলিক রাজধানী লাসায় ৮০ দিনের উপর লকডাউন চালিয়ে যাচ্ছে চিনের কেন্দ্রীয় প্রশাসন। আর তার বিরুদ্ধেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সেখানকার জনতা। ইতিমধ্যেই পুলিস এবং জনতার মধ্যে কয়েক দফা খণ্ডযুদ্ধ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। লকডাউনের কারণে লাসায় যাঁরা আটকে পড়েছেন তাঁদের অধিকাংশই মূলত পরিযায়ী শ্রমিক, কাজের সন্ধানে চিনের অন্যান্য প্রদেশ থেকে লাসায় এসেছিলেন। কিন্তু কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধির কথা বলে ফের লকডাউনের পথে হেঁটেছে চিন প্রশাসন। চিনের যে কয়েকটি শহরে এখনও লকডাইন এবং অন্যান্য সুরক্ষাবিধি মেনে চলা হচ্ছে, লাসা তার মধ্যে অন্যতম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বস্তুত, কোভিড নিয়ন্ত্রণে চিনের আগ্রাসী নীতি জনজীবন এবং অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করেছে বলে মনে করছেন সে দেশেরই বাসিন্দাদের একাংশ। তিব্বত চিনের কেন্দ্রীয় প্রশাসন নিয়ন্ত্রিত একটি স্বশাসিত প্রদেশ।


আরও পড়ুন: USA-India: চিনকে 'বড় বিপদ' বলে উল্লেখ করে কেন ভারতের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠতার কথা আমেরিকার মুখে?


লাসায় বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ এই লকডাউনের ফলে লাসায় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, বাড়ির মালিকরা বকেয়া ভাড়ার জন্য ভাড়াটেদের হুমকি দিচ্ছেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি চিনের প্রশাসন কোভিড সংক্রমণের আসল তথ্য লুকিয়ে সকলকে বিভ্রান্ত করছে। 


বিক্ষোভকারীদের একাংশ জানিয়েছেন, একটি ছোট জায়গার ভিতরে তাঁদের থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে, বাইরে বেরোলেই পুলিস জরিমানা করছে।  এসব নিয়ে লাসায় বেশ কিছু দিন ধরেই বিক্ষিপ্ত ভাবে বিক্ষোভ চলছে। তবে দুদিন আগে গত বুধবারের বিক্ষোভটিকেই ইদানীংকালের সব চেয়ে বড় প্রতিবাদী জমায়েত বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। বিক্ষোভকারীরা ‘আমরা বাড়ি যেতে চাই’ স্লোগান তুলে মিছিল করার চেষ্টা করেছেন। আর পুলিস তাঁদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। এর পরই শুরু হয় জনতা-পুলিস খণ্ডযুদ্ধ।  


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)