জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নিউটাউনে খুন হওয়া বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিমের দেহ কোথায়? এটাই এখন বড় প্রশ্ন। যে কাসাই আনোয়ারুল আজিমের দেহ টুকরো করেছিল সেই জিহাদকে জেরা করেও কোনও কুলকিনারা পাচ্ছে না পুলিস। এদিকে তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই উঠে আসছে নিত্যনতুন তথ্য। বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্য়মের দাবি, অনোয়ারুল আজিমের অপরাধের ফিরিস্তি অনেক লম্বা। এতটাই লম্বা যেতার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিসও জারি হয়েছিল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-কলকাতায় বাংলাদেশের সাংসদ খুনে এবার সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য‌! কী রহস্য ভেদ হল?


পুলিস সূত্রে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে দাবি, ২০০৭ সালে আনোারুল আজিমের বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিস জারি করে ইন্টারপোল। তাঁর বিরুদ্ধে সোনা চোরাচালান, হুন্ডি, হত্যা, গুমখুন-সহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়। ওইসব অপরাধের জন্য তার বিরুদ্ধে গ্রেফতার পরোয়ানা জারি করে আদালত। সেইসব শাস্তি থেকে বাঁচতে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেম আনোয়ারুল। ২০০৮ সালে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে তাকে আত্মসমর্পন করতে বলা হয়। কিন্তু আওয়ামি লিগ ক্ষমতায় আসতেই বরাত খুলে যায় আনোয়ারুলের।


এবচৎ জানুয়ারি মাসে হওয়া বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে প্রার্থী হন আনোয়ারুল। সেখানে যে হলফনামা তিনি জমা দিয়েছেন সেখানে তিনি লিখেছেন তাঁর বিরুদ্ধে ২১টি মামলা রয়েছে।  তবে কোনও মামলায় তিনি খালাস, কোনও মামলায় তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। সেইসব কথাও তিনি উল্লেখ করেন হলফনামায়। ২০০৯ সালে আওয়ামি লিগ ক্ষমতায় আসার পর তাঁর নাম ইন্টারপোলের নোটিস থেকে বাদ দেওয়া হয়। এমন একজনকে আওয়ামি লিগ কীভাবে মনোনয় দেয় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বাংলাদেশে।


এদিকে, আনোয়ারুল আজিমের দেহাংশ খুঁজতে ভাঙড়়ের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়েছে পুলিস। বেশ কিছু দিন হয়ে গেলে, দেহাংশ পচে নষ্ট হয়ে যেতে পারে বা তা মাছে খেয়ে ফেলতেও পারে। ফলে এভাবে দেহাংশ খুঁজে পাওয়া কঠিন। রোববার ভাঙড়ের খালে তৃতীয় দিনের মতো তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। সকাল ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ভাঙড়ের সাতুলিয়া এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালান তদন্তকারী কর্মকর্তারা। ডিএমজি এবং এলাকার জেলেদের সাহায্য নিয়ে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। দুপুরের পর মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় উদ্ধারকাজ বন্ধ করে দেন তদন্তকারীরা। ফলে দেহাংশ খুঁজে না পাওয়া গেলে তদন্ত শেষ হবে না।


ঘটনায় ব্যবহৃত ছুরি, কাঁচি, চপারের খোঁজ এখনো পাননি সিআইডির গোয়েন্দারা। ফলে কীভাবে ঘটনা ঘটানো হয়েছে, তা নিয়ে তারা ধন্ধে রয়েছেন। তবে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, নিউ টাউনের অ্যাক্সিস মল থেকে ঘটনার সঙ্গে যুক্ত দুষ্কৃতকারীরা ১০ বোতল ফ্লোর ক্লিনার এবং ১৫ বোতল অ্যাসিড কিনেছিল। তদন্তকারীদের ধারণা, এগুলো হয়তো ঘটনাস্থল থেকে রক্ত ধুয়ে, মুছে ডিএনএ-সংক্রান্ত প্রমাণ নষ্ট করতে ব্যবহার হয়েছে।



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)