ওয়েব ডেস্ক: সিরিয়া ইরাক থেকে শরণার্থীর সংখ্যা কমেছে। তবে লিবিয়া থেকে এখনও শরণার্থীরা ঢুকছেন ইওরোপে। বিপদ উপেক্ষা করেও নতুন ঠিকানায় আসছেন তাঁরা। এই অবস্থায় ইওরোপিয়ন বর্ডার অ্যান্ড কোস্ট গার্ড এজেন্সিকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তুরস্কের নজরদারিতে ভূমধ্যসাগর পেড়িয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া কিংবা ইরাক থেকে ইউরোপের দেশগুলিতে শরণার্থীর ঢল কিছুটা কমেছে। তবে নতুন করে চিন্তা বাড়িয়েছে সাগর পেড়িয়ে লিবিয়া থেকে আসা শরণার্থীরা। এখন প্রায় প্রতিদিনই সাড়ে ৭০০ শরণার্থী বিপজ্জনক ভাবে সমুদ্র পেড়িয়ে ইতালির উপকূলে এসে উঠছেন। গ্রিসেও প্রায় প্রতিদিন পৌছচ্ছেন ৫০জন করে শরণার্থী।


আফ্রিকা থেকে আসা শরণার্থীদের নতুন ঢল দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে ইওরোপীয় ইউনিয়নের। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এরা কোনও ক্রমে একটা নৌকায় চেপে ভেসে পড়ছেন সমুদ্রে। তারপর ঢেউয়ের ধাক্কায় চরম বিপদের মধ্যে পড়ছে নৌকাটি। অনেক ক্ষেত্রেই উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজগুলির বিপজ্জনক এই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করেছে তাঁদের।


আরও পড়ুন ফেসবুক, ট্যুইটার, ইনস্টাগ্রাম, সব বন্ধ!


লিবিয়া থেকে ইতালি পৌছনোর জন্য একটা কাঠের নৌকায় চেপে বসেছিলেন প্রায় ৪০০জন। নৌকার মধ্যে গাদাগাদি করে এতো লোক ওঠায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন ৪জন। ঢেউয়ের ধাক্কায় নৌকাটির টলমল অবস্থা হলে অনেকেই চিত্কার করে সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়ে। নৌকার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। শেষ পর্যন্ত উদ্ধারকারী জাহাজ তাঁদের জল থেকে তুলে নেয়।


ইওরোপের শরণার্থী আসা ঠেকাতে ইওরোপিয়ন বর্ডার অ্যান্ড কোস্ট গার্ড এজেন্সিকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। এর জন্য খরচ করা হয়েছে প্রায় ৩৩২ মিলিয়ন ইউরো। প্রায় ১৫০০জন সীমান্তরক্ষী এখন থেকে শরণার্থীদের স্রোত আটকানোর চেষ্টা করবে। কিন্তু যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইরাক, সিরিয়া কিংবা লিবিয়া থেকে আসা শরণার্থীদের স্রোত এভাবে কী সত্যি বন্ধ করা যাবে? সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও স্পষ্ট নয়।