জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: করোনা পিছু ছাড়ছে না চিনের। চিনে করোনা সংক্রমণ আবার নতুন করে বাড়ছে। রবিবার চিনে নতুন করে ২৬ হাজার ৮২৪ জনের করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে! এপ্রিলে সেখানে করোনা সংক্রমণ চূড়ায় ওঠার সময়ে দৈনিক যত রোগী শনাক্ত হচ্ছিলেন, নতুন করে শনাক্ত হওয়ার শতাংশ সেই পর্যায়ে এসে ঠেকেছে! বেজিংয়ে দু্জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়।  করোনা সংক্রমণ আবার বেড়ে যাওয়ায় বেজিংয়ের কর্মকর্তারা আজ, সোমবার থেকেই সবচেয়ে বেশি করোনা শনাক্ত হচ্ছে, এমন এলাকার বাসিন্দাদের ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। এমন নির্দেশ আসার পরেই বেজিংয়ের অনেক স্কুলে আবারও অনলাইনে ক্লাস শুরু!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: যুবতী অধস্তনের সঙ্গে প্রৌঢ় বসের উত্তাল রোম্যান্স, গেল চাকরিও...


চিনে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা-সংক্রমণ। শীতের শুরুতেই সেখানে করোনাচিত্র ক্রমশ বড় আকার ধারণ করছে। এরই হাত ধরে সেখানে নতুন করে লকডাউনেরও আশঙ্কা। আশঙ্কা সত্য করে চিনের কিছু কিছু প্রদেশে ঘোষণাও করে দেওয়া হয়েছে লকডাউন। চিনে এর আগ একদিনে প্রায় ১৫ হাজার করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছিল!বেজিংয়ের সংক্রমণ নিয়েও ভাবাচ্ছে সে দেশের সরকারকে। এর আগে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় দক্ষিণ চিনের গুয়াংঝৌ প্রদেশে লকডাউন ঘোষণা করে জি জিনপিংয়ের দেশ। গুয়াংঝৌ প্রদেশকে চিনের উৎপাদনকেন্দ্র বলা হয়। সেখানে আবারও লকডাউন চালু হওয়ায় উৎপাদন সাময়িক ধাক্ক খায়। এর জেরে চিনের ধুঁকতে থাকা অর্থনীতি আবারও ধাক্কা খাবে বলেও আশঙ্কা করা হয়। গুয়াংঝৌয়ের  আধিকারিকরা স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করেছিলেন। গাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল স্কুল-কলেজ।


ইদানীং করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসায় এবং মৃত্যুসংখ্যাও প্রায় শূন্য হয়ে যাওয়ায় বিশ্বের সব দেশই কোভিডবিধি শিথিল করেছে, কিন্তু চিন তাদের সিদ্ধান্তে অনড়। কোনও ভাবেই কোভিডবিধি শিথিল করতে রাজি হয়নি তারা। বারবার এই বিধিনিষেধ আরোপের ফলে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে প্রায়শই বিবাদ বেধেছে চিনের সংশ্লিষ্ট এলাকার সরকারি আধিকারিকদের। কিছুদিন আগে লাসার বাসিন্দাদের সঙ্গে বিরোধ বেধেছিল চিনের প্রশাসনিক আধিকারিকদের।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)