নিজস্ব প্রতিবেদন : কে বা কারা এমন গুজব ছড়িয়ে দিলেন! পদ্মা নদীর উপর সেতু নির্মাণে এক লাখ মানুষের মুণ্ডু চাই! আর সেই গুজব আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়লে গোটা বাংলাদেশে। এমনকী, গুজব নিয়েও গুজব ছড়াল গোটা দেশে। কোথাও রটে গেল, সেতু নির্মাণে চাই ১৫ হাজার মানুষের মাথা! কোথাও গুজব, সেতুর জন্য এক লাখেরও বেশি মানুষের মুণ্ডু প্রয়োজন। এমন এক গুজব যার কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই। সেতু নির্মাণের সঙ্গে মানুষের মাথার কী সম্পর্ক, তা ভেবে দেখলেন না সাধারণ মানুষ। কেউ বা কারা গুজব ছড়ালেন, আর সাধারণ মানুষ তা বিশ্বাস করে আতঙ্কে ভুগছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  পাকিস্তানে মুখোমুখি ট্রেনের ধাক্কা, মৃত্যু কমপক্ষে ২৪, আহত ৭০



সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবার আগে এমন গুজব ছড়ানো হয়। মুহূর্তে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে। সাধারণ মানুষ আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েন। গুজব এতটাই আতঙ্ক ছড়ায় যে প্রশাসনিক মহল থেকে বিবৃতি দিয়ে সচেনতা বাড়ানো হয়। পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলামের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এমন অপপ্রচার চালানো আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এমন গুজবে কান দিয়ে সাধারণ মানুষের বিব্রত হওয়ার কোনও কারণ নেই বলেও জানানো হয়েছে। প্রশাসনিক মহলের তরফে জানানো হয়েছে, যারা এমন গুজব ছড়াচ্ছেন তাদের কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে।


আরও পড়ুন-   উত্তেজনা জিইয়ে রেখে আকাশসীমা না খোলার হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের


এমন গুজব ছড়ানোর পর বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকরা। জানা গিয়েছে, গুজব ছড়ানোর পর থেকে বিভিন্ন এলাকায় স্কুলে উপস্থিতির হার ব্যাপক হারে কমে গিয়েছে। এমনকী বাংলাদেশের বেশ কিছু জায়গায় সন্ধ্যে নামার আগে দোকান-পাট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এদিকে, পদ্মা নদীর উপর সেতু নির্মাণের কাজ চলছে জোরকদমে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২৯৪টি পাইলের মধ্যে ২৯২টি বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। ৪২টি পিলারের মধ্যে ইতিমধ্যে ৩০টি পিলারের কাজ শেষ হয়েছে। তাদের দাবি, সেতু নির্মাণের কাজ ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে।