ওয়েব ডেস্ক: পাকিস্তানের সঙ্গে স্নায়ুযুদ্ধের মধ্যেই সন্ত্রাস দমন ইস্যুতে রাশিয়াকে পাশে পেল ভারত। সীমান্তপারের সন্ত্রাসের সঙ্গে ভারত যে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, মস্কোর তাতে পূর্ণ সম্মতি রয়েছে। পুতিনকে পাশে বসিয়ে ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে সার্জিক্যাল অ্যাটাকের পর দেশের মাটিতে আয়োজিত প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন।
হাজির রাশিয়া আর চিনের মতো দুই মহাশক্তিধর দেশ। প্রতিবেশী পাকিস্তানকে নিয়ে তিতিবিরক্ত ভারত কী বার্তা দেয়, সেদিকে নজর ছিল সবার। তার চেয়েও বড় প্রশ্ন ছিল, দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক বন্ধু রাশিয়াকে কতটা আন্তরিক ভাবে পাশে পাবে ভারত? দিনের শেষে অ্যাডভান্টেজ নয়াদিল্লি। প্রথম কৌশলী চালটা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের দীর্ঘ বন্ধুত্বের কথা স্মরণ করিয়ে।


আরও পড়ুন- ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে যে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হল


এরপর রুশ প্রবাদ টেনে রুশ প্রেসিডেন্টকেই বার্তা। মোদী বললেন, দুজন নতুন বন্ধুর থেকে পুরনো বন্ধু অনেক ভাল। এর আগে উরির সেনাশিবিরে জঙ্গি হামলার নিন্দা করেও পাকসেনার সঙ্গে যৌথ মহড়া করেছে রুশ বাহিনী। তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। সন্ত্রাসবাদীদের প্রশ্রয় দেওয়া পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় নীতিতেই রয়েছে। এমন দেশের সেনার সঙ্গে যৌথ মহড়ায় অংশ নেওয়া বিপজ্জনক। দূত মারফত একথাও জানানো হয় মস্কোকে। শনিবার সকালে রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রায় দুঘণ্টা বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সীমান্তপারের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারত যে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, তাতে সম্মতি জানিয়েছে রাশিয়া। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নিয়ে দুদেশই যে একমত, পুতিনকে পাশে নিয়েই তা জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।


আরও পড়ুন- পাকিস্তানের ভবিষ্যত কোন পথে? আজই বোঝা যাবে BRICS-এ!


দুই দেশ সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের কড়া নিন্দা করে যে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, ভারত-রাশিয়া সন্ত্রাসের বিপদ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। সন্ত্রাস নির্মূল করতে আন্তর্জাতিক স্তরে সহযোগিতা প্রয়োজন। জইশ প্রধান মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণার দাবি জানিয়েছিল ভারত। রাষ্ট্রসংঘে ভারতের সেই প্রস্তাবে বাগড়া দিয়েছে চিন।
শনিবার ভারত-রাশিয়ার যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সন্ত্রাস প্রতিহত করার জন্য রাষ্ট্র সংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিজস্ব প্রস্তাব ও কৌশল রয়েছে। সন্ত্রাসের সঙ্গে লড়াইয়ে তা মেনে চলা উচিত। সেখানে কোনও দ্বিচারিতা থাকা ঠিক নয়।


এর পাশাপাশি, জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয় না দেওয়া, জঙ্গি ভাবাদর্শের প্রচারে রাশ টানা, জঙ্গি নিয়োগ বন্ধ করা এবং সীমান্ত সুরক্ষায় জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।