Russia-Ukraine War: গভীর রাতে রাশিয়ার হামলার ঠিক আগে তিনি লিখেছিলেন, `সামওয়ানস অন দ্য মুভ`! কেন?
গুগল ম্যাপসে দেখাচ্ছিল, রাশিয়ার ইউক্রেন সীমান্ত পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট!
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোরের আলো তখনও ফোটেনি। অথচ গুগল ম্যাপসে দেখাচ্ছে, রাশিয়ার ইউক্রেন সীমান্ত পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট! কেন? যিনি দেখছেন, তিনি লহমায় বুঝে গেলেন বিষয়টি আসলে কী? তিনি টুইটারে লিখলেন, 'সামওয়ানস অন দ্য মুভ।' রুশ সেনা যে এগোতে শুরু করেছে, সে ইঙ্গিতই দিলেন তিনি।
'তিনি' যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার মিডলবারি ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের অধ্যাপক জেফরি। রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের ঘটনাটি সেদিনই ভোর সোয়া তিনটার দিকে অনুমান করেন তিনি। হয়তো পুরোপুরি নিশ্চিত ছিলেন না তিনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও দু'য়ে দু'য়ে চার করে নিতে পেরেছিলেন। কারণ, স্যাটেলাইট সার্ভিস প্রোভাইডার 'কাপেলা স্পেসে'র পাঠানো রাডার-ছবিতে ঠিক ওই জায়গায় রুশ সেনাদের তাঁবু দেখেছিলেন যে তিনি! আর জেফরির সেই অনুমানের ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই যুদ্ধ ঘোষণা করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। নানা দিক থেকে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ইউক্রেন।
যুদ্ধে উপগ্রহচিত্র আসলে একটা অস্ত্র। আর এই অস্ত্র ব্যবহার করেই ইউক্রেন সুবিধাজনক পজিশনে চলে যাচ্ছে। যাতে যে-পরিকল্পনা করে রুশসেনা আগ্রাসনে নেমেছিল তা সম্পূর্ণ ফলপ্রসূ হচ্ছে না। ইউক্রেনীয় উদ্যোক্তা ম্যাক্স পলিয়াকোভ বারবার বলছেন, রুশ আক্রমণ ঠেকাতে হলে বিনামূল্যে এবং দ্রুত উপগ্রহচিত্র দরকার। পলিয়াকোভ জানিয়েও দেন, নিজের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সেই চিত্র বিশ্লেষণ করে ইউক্রেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে দেবেন তিনি। কথামতো কাজ।
আসলে রাডার-চিত্র দেখে বলে দেওয়া সম্ভব, কত কিলোমিটার দূর থেকে ক'টি ট্যাঙ্ক ঠিক কোন দিক থেকে লক্ষ্যস্থানের দিকে এগিয়ে আসছে! তবে রাডার-চিত্র অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়ায় বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া সচরাচর তা ব্যবহার করা হয় না। ইউক্রেন অবশ্য রাডার-চিত্র চায়। ম্যাক্স পলিয়াকভের বক্তব্য সমর্থন করে টুইটারে আটটি রাডার-চিত্র সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বানও জানায় ইউক্রেন। বলা হয়-- রুশ সেনাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের সুযোগ থাকা দরকার ইউক্রেনের হাতে, বিশেষ করে রাতে যখন তাদের স্ব-প্রযুক্তি তেমন কাজে আসে না!
'কাপেলা স্পেস' বলছে, এই মুহূর্তে তারা ইউক্রেনের রাডার-চিত্র শুধু ইউক্রেন ও মার্কিন সরকারকেই দিচ্ছে। কিন্তু রাশিয়া কি চুপ করে বসে থাকবে? তারা সাইবার হামলা বা আড়ি পাতার মাধ্যমে এই তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে কিংবা বিকৃত করতে পারে। অথবা প্রয়োজনে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ধ্বংস করে দিতে পারে মার্কিন উপগ্রহ (নভেম্বরে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে নিজেদের একটি উপগ্রহ ধ্বংস করে দেখিয়েছিল রাশিয়া)!
আরও পড়ুন: Russia-Ukraine War: জেলেনস্কিকে ফোন মোদীর; আধ ঘণ্টারও বেশি কথা হল দুই নেতার