জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গতকাল, ৩ মে রাশিয়ায় ড্রোন হামলার পরই ক্রেমলিনের তরফে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানানো হয়েছিল, ইউক্রেনের এই দুঃসাহসিকতার ফল মোটেই ভালো হবে না! যে-কথা সে-ই কাজ। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে তারা। ইউক্রেনের খেরসন শহরে হামলা চালায় রাশিয়া। সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে একের পর এক জায়গায় বর্ষণ করা হচ্ছে মিসাইল। কিয়েভে দুটি জোরালো বিস্ফোরণের শব্দও শোনা গিয়েছে। ইউক্রেন প্রশাসনের তরফে সাধারণ মানুষকে আপাতত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

 


 

পুতিনহত্যার ছক কষেছিল কি ইউক্রেন? অন্তত রাশিয়ার তেমনই দাবি, কেননা, তারা বলছে, ক্রেমলিনের প্রাসাদে ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। আর সেটার লক্ষ্য তো স্বয়ং পুতিনই। যদিও ইউক্রেন সেই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে। কিন্তু করলে কী হবে, রাশিয়া তা বিশ্বাস করার পাত্র নয়, বরং তারা এটাকেই সত্যি মনে করে গতকালই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিল, যে এর প্রতিশোধ নেবে আর সেই মোতাবেকই ইউক্রেনে নতুন করে হামলাও শুরু করে দিয়েছে। 

 


 

বছর পার হলেও থামার কোনও লক্ষ্যই নেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের। উল্টে বুধবার থেকে নতুন মোড় নিল এই যুদ্ধ-সংঘাত। রাশিয়ার অভিযোগ, তাদের দেশের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন-কে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে ইউক্রেন। কিন্তু সঠিক সময়ে নিরাপত্তা বাহিনীর নজরে পড়ে যাওয়ায় গুলি করে ড্রোন নামানো যায়। ইউক্রেন এই হামলার দাবি অস্বীকার করলেও গতকালই মস্কোর তরফে এর বদলা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। আর রাতেই ইউক্রেনের খেরসন  শহরে ভয়ংকর প্রাণঘাতী এক হামলা চালায় রাশিয়া। এই হামলায় এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে, ৪৮ জন আহত হয়েছেন।

 

রাশিয়ার মিসাইল হামলার সতর্কতায় অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে কিয়েভ ও আরও কয়েকটি শহরে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে, এই অভিযোগের পর থেকেই ইউক্রেনের উপরে হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে মস্কো। যদিও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, মস্কোর আকাশে ড্রোনের গতিবিধির সঙ্গে ইউক্রেনের কোনও যোগ নেই। তারা পুতিন বা মস্কো-- কাউকেই আক্রমণ করতে চায় না, শুধু নিজেদের জমি রক্ষা করতেই চায়।