জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সেই ১৯৮০ সাল থেকেই তাঁর প্রাণ সংশয়ের ভয় ছিল। এমনকি, সম্প্রতি নিজের কিছু লেখালেখিতেও তাঁর প্রাণসংশয়ের আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেছেন তিনি। সলমন রুশদি। এই সময়ের ইংরেজি ভাষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক। তিনি অবশেষে ছুরবিদ্ধ হলেন। মঞ্চে ভাষণ দিতে উঠেছিলেন। এমন সময় আচমকা ছুরি দিয়ে আক্রমণ। ঘটনাটি ঘটেছে। নিউ ইয়র্কে। দুষ্কৃতীর এই হামলায় গুরুতর আহত হলেন বুকারজয়ী লেখক সলমন রুশদি। ঘটনার পরেই লেখককে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Dry Riverbed at Thames: শুকিয়ে যাচ্ছে টেমস? আর বইবে না লন্ডনের বিখ্যাত জলধারা...


ভারতীয় বংশোদ্ভূত কিন্তু ব্রিটেনের নাগরিক লেখক সলমন রুশদি গত ২০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। নিউ ইয়র্কের শৌতকুয়া নামের একটি প্রতিষ্ঠানে পঁচাত্তর বছর বয়সি রুশদির উপর এই হামলা চালানো হয়। ঘটনার পর সঙ্গে সঙ্গে প্রেক্ষাগৃহ খালি করে দেওয়া হয়েছে। নিউ ইয়র্কের পুলিস সূত্রে খবর, গ্রেফতার করা হয়েছে হামলাকারীকে। দ্য স্যাটানিক ভার্সেস-এর লেখককে নিয়ে উদ্বিগ্ন সারা বিশ্ব। 


১৯৮৮ সালে প্রকাশিত রুশদির চতুর্থ উপন্যাস 'দ্য স্যাটানিক ভার্সেস' বিশ্বব্যাপী বড় আকারের বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিল। বইটি প্রকাশের পর বেশ কয়েকটি দেশের মুসলিমরা প্রতিবাদ জানায়। কোনও কোনও তরফে লেখকের প্রতি মৃত্যুর হুমকিও দেওয়া হয়। ইরানের প্রধান ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি এই বই লেখার জন্য ১৯৮৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি রুশদির বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের ফতোয়া জারি করেছিল। কিন্তু দমবন্ধ সন্ত্রস্ত এই পরিবেশেও কলম থামেনি রুশদির। একের পর এক দারুণ সব লেখার জন্ম দিয়ে গিয়েছেন। ইংরেজি ভাষার ভারতীয় লেখকদের মধ্যে তিনি অন্যতম সেরার তকমা পেয়েছিলেন তাঁর লেখকজীবনের একেবারে শুরু থেকেই। ২০০৭ সালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য তাকে 'নাইট ব্যাচেলর' উপাধিতে ভূষিত করেন। ২০০৮ সালে 'দ্য টাইমস' ১৯৪৫ সালের পর থেকে যুক্তরাজ্যের সেরা ৫০ জন সাহিত্যিকের তালিকায় তাঁকে ১৩তম স্থান প্রদান করে। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)