নিজস্ব প্রতিবেদন : সাদা রঙের দুটি গাড়ি পাশাপাশি দাঁড়িয়ে। একই মডেল। এই পর্যন্ত কোনও অস্বাভাবিক কিছু ছিল না। গোল বাঁধল এর পর নম্বরপ্লেটের দিকে খেয়াল করতেই। দুটি একই মডেলের গাড়ির নম্বরপ্লেট একই। এটা কী করে সম্ভব! বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার একটি রাস্তায় এমনই কাণ্ড ঘটেছে। ছবিটি ফেসবুকে আপলোড হওয়ার পর থেকে তোলপাড় শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন, এমন ঘটনার পর কেউ কেউ ছবিটিকে ভুয়া বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  ২৫ বছরে অনেক বদলে গিয়েছে দাউদ ইব্রাহিম, পাকিস্তান থেকে সামনে এল টাটকা ছবি



বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিআরটিএ)-র তরফে জানানো হয়েছে, ছবিটি ভুয়া নয়। গাড়ি দুটির খোঁজে নেমেছে পুলিস ও গোয়েন্দারা। দুটি গাড়িউ টয়োটা-র। রঙ সাদা। বাংলাদেশের রুহুল আমিন রিপন নামের একজন এই দুটি গাড়ির ছবি পোস্ট করেছিলেন ফেসবুকে। গাড়ি দুটির ছবি তিনি পিছন থেকে তুলেছিলেন। ফেসবুকে পোস্ট করামাত্র ছবিটি ভাইরাল হয়ে যায়। গাড়ি দুটির নম্বরপ্লেটে লেখা ঢাকা মেট্রো-গ ৪২-৪৬১৮। রুহুল আমিনের দাবি, তাঁকে আবার ছবিটি আরেকজন পাঠিয়েছিলেন। এই ছবি সামনে আসার পর থেকে অনেকেই বিআরটিএ-র রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। তাদের দাবি, এরকম কারসাজির ফলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে।


আরও পড়ুন-  সমুদ্রের পারে ভেসে উঠছে লাখ লাখ জেলিফিশ, জারি হল সতর্কতা


ঢাকা পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, একই মডেল ও রঙের দুটি গাড়ি থাকতে পারে। কিন্তু একই নম্বরপ্লেটের দুটি গাড়ি কখনওই থাকতে পারে না। কোন উদ্দেশ্য নিয়ে একই নম্বরপ্লেটের দুটি গাড়ি চালানো হচ্ছে তার খোঁজে নেমেছে পুলিস ও গোয়েন্দারা। তবে পুলিসের তরফে এটাও জানানো হয়েছে, একই নম্বরপ্লেটের দুটি গাড়ি আলাদা আলাদা জায়গায় চললে সব সময় সেগুলিকে ধরা সম্ভব নয়। পুলিসের অনুমান, একই নম্বরপ্লেটের দুটি গাড়ির মধ্যে একটি হয়তো অবৈধ কোনও কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে! ঢাকা পুলিস নম্বরপ্লেট যাচাই করে জানতে পেরেছে, গাড়িটি শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ঋণে কেনা হয়েছিল। গাড়িটি কোনও এক পোশাক কারখানার নামে কেনা। ৩ মার্চ গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন হয়েছিল। তবে এখনও ডিজিটাল নম্বপ্লেট মালিকপক্ষ নেয়নি। তাই অন্য গাড়িতে কাগজে নম্বর প্রিন্ট করিয়ে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।