নিজস্ব প্রতিবেদন: সতেরো দিনের মাথায় শেষেমেশ সৌদি আরবের স্বীকারোক্তি, ইস্তানবুলে সৌদি দূতাবাসেই মৃত্যু হয়েছে সাংবাদিক জামাল খাশোগির। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, তা হলে এত দিন অভিযোগ অস্বীকার করে টালবাহানা করছিল কেন সলমনের প্রশাসন? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কার্যত চাপে পড়েই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে সৌদি প্রশাসন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- চোখের জলে আইয়ুব বাচ্চুকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন হাজার হাজার ভক্ত


সাংবাদিক খুনে বিশ্বের কূটনৈতিক স্তরে রীতিমতো কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছেন সৌদির যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন। যাঁদের বিরুদ্ধে তুরস্ক অভিযোগ এনেছে, অনেকেই সৌদির যুবরাজের ঘনিষ্ঠ বলে জানা যাচ্ছে। যুবরাজের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ২ অফিসার-সহ আরও ৩ গোয়েন্দাকে বহিষ্কার করেছে সৌদি প্রশাসন। গ্রেফতার করা হয়েছে সন্দেহভাজন ১৮ জনকে। প্রায় ১৮ দিন পর সৌদির এই পদক্ষেপে কূটনীতির গন্ধও পাচ্ছে ওয়াকিবহাল মহল। ইতিমধ্যে অনেকটাই কালিমালিপ্ত হয়েছে যুবরাজের ভাবমূর্তি। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর পদক্ষেপে পিছু হটতে বাধ্য হয়। ক্ষমতার সন্নিকটে থেকে কোনওভাবেই তা হাতছাড়া না হয়, তার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন যুবরাজ।


আরও পড়ুন- আমেরিকায় ৭০ হাজার ভারতীয়ের ভবিষ্যত্ অন্ধকারে


প্রথম থেকেই তুরস্ক সরকারি দাবি করে, সৌদি দূতাবাসে খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে। গত ২ অক্টোবর ইস্তানবুলে সৌদির দূতাবাসে ঢুকতে দেখা গিয়েছে সাংবাদিক খাশোগিকে। সেটাই শেষ দেখা বলে জানা যায়। এর পর ওই সাংবাদিকের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তুরস্ক অভিযোগ করে, সৌদির যুবরাজের অন্যতম সমালোচক হওয়ায় খাশোগিকে খুন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, খাশোগিকে দেশে ফেরানোর ছক কষেছিল সৌদি আরব। এর জন্য ১৫ জনের একটি দল তুরস্কে যায়। সৌদি আরবের তরফে স্বীকার করা হয়েছে, তর্কাতর্কি তারপর হাতাহাতির জেরে ইস্তানবুলের সৌদি দূতাবাসে মৃত্যু হয় জামাল খাশোগির। কিন্তু মৃতদেহ কোথায় গেল এ নিয়ে কুলুপ এঁটেছে প্রশাসন।