ভারতে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, আজমির শরিফে যাবেন শেখ হাসিনা
শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় কানেক্টিভিটি এবং বাণিজ্যের মতো বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। উভয় পক্ষই ১৯৬৫-এর আগের রেল সংযোগ এবং অন্যান্য সংযোগ পুনরুদ্ধার করতে আগ্রহী বলে জানা গিয়েছে। ২০২১ সালের মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বাংলাদেশ সফরের সময়, দুই প্রধানমন্ত্রী চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেল সংযোগের মাধ্যমে ঢাকা-নিউ জলপাইগুড়ি-ঢাকা রুটে তৃতীয় যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা `মিতালি এক্সপ্রেস` উদ্বোধন করেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ভারত সফরে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সফরের সময় বিখ্যাত আজমির শরীফ দরগায় যাবেন তিনি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ৬ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর ভারতে থাকবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগেও আজমির শরিফে গিয়েছেন তিনি। ২০১৭ সালে তাঁর সালের সাম্প্রতিকতম সফরেও আজমীরে যান তিনি। সেখানে খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির মাজারে চাদর দিয়েছিলেন হাসিনা। তিনি ২০১০ সালেও মাজারটি পরিদর্শন করেন। সেই সময় তিনি দ্বিতীয়বারের মতো তার দেশের প্রধানমন্ত্রী হন। হাসিনা ২০০৯ সাল থেকে টানা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তিনি ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনেও জিতেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পরে দিল্লিতে থাকতেন। সেই সময় ১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত দিল্লিতে থাকার সময় বিখ্যাত নিজামুদ্দিন দরগার নিয়মিত দর্শনার্থী ছিলেন তিনি। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, শেখ হাসিনা এবং তার বোন শেখ রেহানাকে আশ্রয় দেন কারণ বাংলাদেশ তখন উত্তাল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। বাংলাদেশ সৃষ্টির মূল শেখ মুজিবুরের হত্যার পরেই উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ।
শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় কানেক্টিভিটি এবং বাণিজ্যের মতো বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। উভয় পক্ষই ১৯৬৫-এর আগের রেল সংযোগ এবং অন্যান্য সংযোগ পুনরুদ্ধার করতে আগ্রহী বলে জানা গিয়েছে। ২০২১ সালের মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বাংলাদেশ সফরের সময়, দুই প্রধানমন্ত্রী চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেল সংযোগের মাধ্যমে ঢাকা-নিউ জলপাইগুড়ি-ঢাকা রুটে তৃতীয় যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা 'মিতালি এক্সপ্রেস' উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: UK PM Race: ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছেন সুনক, আগামী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ট্রাস?
বাংলাদেশের চারবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে গোলাপী বলের টেস্ট ক্রিকেট ম্যাচ দেখার জন্য ২০১৯ সালের অক্টোবরে শেষবার দিল্লি আসেন তিনি। এরপরে আবার ২০১৯ সালের নভেম্বরে ভারতে আসেন হাসিনা। সেই সময় কলকাতায় আসেন তিনি। মহাত্মা গান্ধীর ১৫০ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের জন্য ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং প্রধানমন্ত্রী হাসিনা একটি উচ্চ-পর্যায়ের ইভেন্টে দেখা করেন।
কোভিড ১৯ মহামারী প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই, ভারতে তৈরি ভ্যাকসিন বাংলাদেশে পাঠিয়ে সহায়তার হাত বাড়িয়েছিল ভারত। ২০২১ সালে, ভারত সরকার মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রচেষ্টায় সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশকে ৩.৩ মিলিয়ন কোভিশিল্ড (অক্সফোর্ড-অস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন) দিয়ে সাহায্য করে।