নিজস্ব প্রতিবেদন: মার্কিন মুলুকে ফের বন্দুকবাজের হানা। শনিবার ব্যাস্ত সময়ে টেক্সাসের এল পাসো-য় ওয়ালমার্টের শপিং মলে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে দিল বছর একুশের এক যুবক। সেই গুলিতে মৃত্যু হল ২০ জনের। আহত বহু। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়াতে পারে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ওই ঘটনায় ২১ বছরের সন্দেহভাজন আততায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। টেক্সাসের গভর্নর গ্রাগ অ্যাবট জানিয়েছেন, অন্যান্য দিনের মতো এদিনটটিও স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু সবকিছু আচমকাই বদলে যায়।



পুলিস এখনও প্রর্যন্ত যে সন্দেহভাজন আততায়ীকে গ্রেফতার করেছে সে একজন শ্বেতাঙ্গ। থাকে ডালাসের অ্যালানে। তবে এই ঘটনায় মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টের একটি মন্তব্য থেকে ঘটনাটিকে হেট ক্রাইম বলেও মনে করছে বিভিন্ন মহল। যেখানে হামলা হয়েছে সেটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে। অধিকাংশ মানুষই হিস্পানিক। প্রেসিডেন্ট লোপেজ ওবারাডোর বলেছেন, মৃতদের মধ্য তিনজন মেক্সিকোর বাসিন্দা। আহতদের অনেকেই মেক্সিকোর মানুষ।



আরও পড়ুন-জঙ্গি হামলার আশঙ্কা, তড়িঘড়ি কাশ্মীর থেকে সরানো হল ৬,১২৬ পুণ্যার্থী-পর্যটককে


গুলি চালানার পর টেক্সাসের গভর্নরের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। টুইটে তিনি বলেন, ঘটনাটি শুধুমাত্র মর্মান্তিক নয়, অত্যন্ত কাপুরুষোচিত। এই হতাকাণ্ডের কোনও যুক্তি থাকতে পারে না।


মার্কিন মিডিয়ার খবর অনুযায়ী আততায়ীর নাম প্যাটিক ক্রুসিয়ায়। হামলার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় সে একটি ম্যানিফেস্টো লিখেছিল। সেটি পড়ে বোঝা যাচ্ছে এলাকায় হিস্পানিক মানুষদের প্রতি তার ঘৃণা রয়েছে।


আরও পড়ুন-যোগীর রাজ্যে চলন্ত ট্রেন দুর্গাপুরের বাসিন্দা মা-মেয়েকে ফেলে খুন করল ছিনতাইকারীরা 


প্রত্যক্ষদর্শী এক মহিলা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, চারদিক থেকে ফটফট শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম। একের পর এক। এক সময় দেখলাম এক মহিলা মল থেকে বেরিয়ে গাড়ির দিকে এগোচ্ছেন। তার হাতে জিনিসপত্র বোঝাই ক্যারি ব্যাগ। হঠাত্ দেখলাম গাড়ির সামনে এস সে ধপ করে পড়ে গেল।


এই প্রত্যক্ষদর্শী আরও জানিয়েছেন, আততায়ী কানে হেডফোনের মতো কিছু একটা পরে ছিল। হাতে ছিল কালো রঙের রাইফেল। মলের লোকজনকে তাক করে গুলি চালিয়ে যাচ্ছিল।