জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গত শতাব্দীর সব মোড় ফেরানো ঘটনার সাক্ষী তিনি। দুই বিশ্বযুদ্ধ, একাধিক রাষ্ট্রনেতার উত্থান-পতন থেকে সুমামি এমনকি কোভিড অতিমারীরও সাক্ষী তিনি। চলে গেলেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মহিলা লুসিলি রানডন। বয়স হয়েছিল ১১৮ বছর। ১৯০৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ ফ্রান্সে জন্মেছিলেন রানডন। তবে তিনি সিস্টার আন্দ্রঁ হিসেবেই তিনি বেশি পরিচিত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-পরীক্ষাভীতি কাটাতে সাহায্য করবে প্রধানমন্ত্রী লেখা এই বই, উদ্বোধন করলেন রাজ্যপাল


দুই বিশ্বযুদ্ধে পেরিয়ে সিস্টার আন্দ্রেঁ ও তাঁর ভাইরা সবাই ভালোই কাটাচ্ছিলেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর তাঁকে এনিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, যুদ্ধ থেকে তাঁর ভাইয়েরা সবাই নিরাপদে ফিরেছে এটাই ভালো খবর। শেষদিকে আর চোখে দেখতে পেতেন না আন্দ্রেঁ। তবে মানুষের সেবার কাজটা ওই অবস্থাতেই ঠিকঠাক করে যেতেন।


গত বছর মারা যান জাপানের কানে তানাকা।  মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ১১৯ বছর। জেরেনটোলজি রিসার্চ গ্রুপ যারা ১১০ বছরের বেশি মানুষদের উপরে নজর রাখে তারাই সিস্টার আন্দ্রেঁকে দুনিয়ার সবচেয়ে বয়স্ক মানুষের স্বীকৃতি দেয়। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে করোনা আক্রান্ত হন সিস্টার আন্দ্রেঁ। কিন্তু কোনও উপসর্গ ছিল না। শেষপর্যন্ত সেরেও ওঠেন। খুশির হাওয়া বয়ে যায় ফ্রান্সে।


তাঁর এত দীর্ঘায়ূর রহস্য কী? সিস্টার আন্দ্রেঁ বলেছিলেন, কাজের মধ্যেই তিনি বেঁচে রয়েছেন। গত বছর এপ্রিল মাসে এমনটাই তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন। ১০৮ বছর বয়স পর্যন্ত কাজ করেছি। শেষবার যখন তিনি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাতকার দিয়েছিলেন তখন বলেছিলেন, মানুষ যদি একে অপরকে ঘৃণা করা বন্ধ করে, আরও বেশি সহানুভূতিশীল হয় তাহলে জীবন অনেকটাই সহজ হয়। এটাই জীবনের মূল মন্ত্র হওয়া উচিত।



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)