জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সাপের নাম শুনলেই গা শিউড়ে ওঠে। অন্যদিকে, এমন এক ব্যক্তি যিনি ১৭৩ বার সাপ কামড় খেয়েছিলেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তারপরে দিব্বি বেঁচেছিলেন, তবে যার মধ্যে ২০ বার তিনি গুরুতরভাবে আহত হয়েছিলেন। ওই ব্যক্তির নাম বিল হাস্ট, তিনি আমেরিকায় স্নেক ম্যান নামেও পরিচিত। বিল পেশায় একজন বিজ্ঞানী ছিলেন। ছোট থেকেই সাপের প্রতি তাঁর তীব্র আকর্ষণ ছিল। ফলে, বড় হয়ে বিল সাপের বিষকে কাজে লাগিয়ে নিজের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চেয়েছিলেন। এই কারণে তিনি প্রথমে সাপেদের দেখাশোনা করতেন। 
১৯৪৬ সালে তিনি মিয়ামি সার্পেন্টারিয়াম খোলেন। ওয়াশিংটন পোস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী ১৯৯০ এর দশকে তিনি প্রতি বছর ফার্মাসিউটিক্যাল ল্যাবরেটরিতে বিষের ৩৬ হাজার নমুনা সরবরাহ করছিলেন।
এক সময়, তিনি সারা বিশ্ব থেকে ১০ হাজারেরও বেশি নিজের কাছে এনে রেখেছিলেন। যার মধ্যে অনেক বিষাক্ত সামুদ্রিক সাপ, আফ্রিকান সাপ, কটনমাউথ, র‍্যাটল স্নেক, কোবরা, ক্রেইটস, গ্রিন মাম্বা, টাইগার সাপ এবং ভাইপার।


আরও পড়ুন:Animal Cruelty: ৬০ টির-ও বেশি সারমেয়কে ধর্ষণ করে হত্যা! পৈশাচিক প্রাণীবিদকে ২৪৯ বছরের জেল...


বিল খালি হাতে বিষধর সাপ ধরতেন। জোর করে তাদের চোয়াল খুলতেন। তারপর একটি কাঁচের শিশিতে তাদের বিষ সংগ্রহ করতেন। এই সময়েই সাপগুলি তাঁকে ছোবল মারত। কোনও সময়ে তিনি বেঁচে যেতেন, আবার কখনও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়তেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনি সাপের বিষের ডোজ শরীরে নেওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তারপর থেকে তিনি বেশিরভাগ সাপের কামড় থেকে বেঁচে যেতেন। এছাড়াও, সাপের বিরুদ্ধে নিজেকে রক্ষা করার জন্য বিল মিথ্রিডাটিজম পদ্ধতি ব্যবহার করার চেষ্টা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা অবশেষে তাকে শক্তিশালী করেছে। অনেকেই তাঁকে এই কাজ করতে বারণ করেছিলেন। কিন্তু কে কার কথা শোনে।


১৯৫৪ সালে বিশ্বের অন্যতম বিষধর সাপ নীল ক্রেইট বিলকে ছোবল মারে। সাধারণত, এই সাপের কামড় থেকে কেউ বাঁচে না। আশ্চর্য ব্যাপার হল, বিলকে কামড়ানোর ১০ দিন পর সাপটি মারা যায়। ধীরে ধীরে, এমন পরিস্থিতি এসে দাঁড়াল যখন, হাস্টের রক্ত ​​এমন হয়ে গেল যে এটি বিষাক্ত সাপের কামড়ের শিকারদের নিরাময় করতে পারে। তিনি ২০ জনেরও বেশি মানুষের জীবন বাঁচিয়েছেন। ২০১১ সালে ১০০ বছর বয়সে বিল হাস্ট শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।  তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে তাঁর দীর্ঘ জীবনের আসল রহস্যটি বিষের নিয়ন্ত্রিত ডোজ গ্রহণ করা। এমনকি যখন তিনি ৯০ বছর বয়স পেরিয়েছেন, তখনও তিনি ফিট এবং সক্রিয়, এবং তার পরেও তাঁর শক্তি হ্রাস পায়নি।


প্রসঙ্গত, ১৬ জুলাই ওয়ার্ল্ড স্নেক ডে হিসাবে পালন করা হয়।


 



আরও পড়ুন, Ququ Love Guru: বড়লোক বর বাগাবেন কী করে, ইউটিউবে টিপস দিয়েই বছরে ১৬০ কোটি রোজগার এই মহিলার!


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)