নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগারনো-কারাবাখ সংঘর্ষের আঁচ পড়ছে এ বার স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিতেও। উদ্বিগ্ন আন্তর্জাতিক মহল। কিন্তু যুদ্ধ বিরতির কোনও সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছে না। কোনও কোনও মহল ক'দিন আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল, এই যুদ্ধ ক্রমশ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ক্ষেত্রই না প্রস্তুত করে! 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নাগারনো-কারাবাখ অঞ্চলটি নিয়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে গত কয়েক বছরের মধ্যে এটিই যে সব চেয়ে গুরুতর সংঘাত, তা নিয়ে এখন আর কোনও সন্দেহ নেই। দু'দেশের লড়াই এবং তাকে ঘিরে উত্তেজনা ক্রমশ তীব্র হচ্ছে।


আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর গানজায় আর্মেনিয়াই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। হামলার পরে নাগারনো-কারাবাখ নিয়ে দু'দেশের উত্তেজনা নতুন করে তীব্র হয়েছে। তবে আগে আজারবাইজান বাহিনীই নাগারনো-কারাবাখ অঞ্চলের রাজধানী এলাকায় গোলাবর্ষণ করে বলেও পাশাপাশি অভিযোগ উঠছে। 


গানজা আজারবাইজানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। আজারবাইজানের প্রশাসনের তরফে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়েছে। যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা যাচ্ছে বলে অভিযোগ। নাগারনো-কারাবাখের বিচ্ছিন্নতাবাদী বাহিনী আবার স্পষ্ট দাবি করছে, তারা গানজা শহরে হামলা চালিয়ে সেখানকার বিমানঘাঁটি ধ্বংস করেছে।


এ দিকে আজারবাইজান বাহিনীও নাগারনো-কারাবাখের রাজধানী স্টেপানাকার্টে গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। অসংখ্য মানুষ বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন এই শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছেন বলে খবর। শহর জুড়ে এখন শুধু সাইরেন আর গোলা বিস্ফোরণের শব্দ!


আশঙ্কা, এই সংঘাতে উভয় পক্ষেরই যথেষ্ট সংখ্যক সামরিক এবং সাধারণ মানুষ হতাহত হয়েছেন। মাত্র এক সপ্তাহ আগে লড়াই শুরু হওয়ার পরে এখন তা আরও বিস্তৃত হচ্ছে বলেই আন্তর্জাতিক মহলের ধারণা। তবে যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক মহল সমানে আবেদন জানিয়ে যাচ্ছে দু'পক্ষকেই। যদিও কোনও দেশই এখনও পর্যন্ত তাতে সাড়া দেয়নি বলেই খবর।


আরও পড়ুন: কিশোরকে সেতু থেকে নীচে ছুঁড়ে ফেলল চিলির পুলিস!