জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মঙ্গলবার জনগণের উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে চমকে দিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি ইউন সুক ইয়ল। ঠিক নোটবন্দির মতো আচমকা ঘোষণা করে দিলেন, দেশজুড়ে জারি হচ্ছে সামরিক শাসন। বিরোধী দলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতার অভিযোগ এনে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ভারতীয় রেলের চমক, ২০২৬ সালেই দৌড়বে দেশে তৈরি বুলেট ট্রেন, গতি হবে...


প্রেসিডেন্ট ইউন বলেন, উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট শক্তির হুমকি এবং রাষ্ট্রবিরোধী উপাদানগুলোকে নির্মূল করতে একটি উদার ও গণতান্ত্রিক দক্ষিণ কোরিয়া পুনর্গঠন করব। জনগণের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং রাষ্ট্রের স্থায়িত্ব বজায় রাখতে এটি ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না।


সামরিক শাসন জারি হলেও এরপর কী ধরনের পদক্ষেপ করা হবে তা জানাননি প্রেসিডেন্ট সুক ইয়ল। এদিকে, শাসক রক্ষণশীল দল পিপল পাওয়ার পার্টির নেতা হান ডং-হুন এই সিদ্ধান্তকে ভুল বলে ইয়লকে নিশানা করেছেন। তিনি বলেছেন, সামরিক আইন ঘোষণার বিরোধিতা করব এবং জনগণের সঙ্গে এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেব।


২০২২ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিরোধী-নিয়ন্ত্রিত সংসদের সঙ্গে ইউনের মতবিরোধ চলে আসছে। বিরোধী ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং শাসক পিপল পাওয়ার পার্টির মধ্যে আগামী বছরের বাজেট বিল নিয়ে চলমান অচলাবস্থা আরও উত্তেজনা তৈরি করেছে। এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ইউন বলেন, জাতীয় পরিষদ রাষ্ট্রের প্রধান কার্যক্রম, মাদক অপরাধ প্রতিরোধ এবং জননিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় বাজেট কমিয়ে দিয়েছে। এতে জনগণ অস্থিতিশীল অবস্থায় পড়েছে, রাষ্ট্রের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং দেশটি মাদকের অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছে।


আচমকা ঘোষিত এই সামরিক শাসন দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করছে রাজনৈতিক মহল।



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)