সহসাই `স্বাধীনতা`র রঙিন উৎসব স্পেন জুড়ে
ফুটবল চালু আছে, যদিও মাঠে ঢোকার অনুমতি নেই দর্শকদের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা-সংক্রান্ত সরকারি বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় স্পেনে রাস্তায় নেমে হই-হুল্লোড় মেতেছেন সাধারণ মানুষ। অথচ কয়েক মাস আগেও ইউরোপের এই দেশটির অবস্থা ছিল বেশ খারাপ। নিখুঁত পরিকল্পনা করে সাফল্য পেয়েছে স্প্যানিশ কর্তৃপক্ষ।
সব নিয়ম শিথিল না হলেও এখানে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে state of emergency অনেকটাই শিথিল (easing of restrictions) করে দেওয়া হয়েছে। এই উপলক্ষে রাস্তায় নেমে উৎসব করেছেন দেশটির হাজার হাজার মানুষ (Spaniards)। এসময় তাঁরা নাচে-গানে মেতে ওঠেন। অনেককেই 'স্বাধীনতা, স্বাধীনতা' বলে স্লোগান দেন রাস্তায়।
আরও পড়ুন: ইজরায়েলি বিমান হামলার জেরে মৃত্যু বাড়ছে গাজায়
শনিবার রাজধানী মাদ্রিদের পুয়ের্তা দেল সল স্কোয়ারে জড়ো হন হাজারো মানুষ। ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের মতো করে তাঁরা সেখানে নানা আয়োজনে মেতে ওঠেন। বেশিরভাগই বয়সে তরুণ। তবে উৎসবে যোগ দিয়েছেন বয়স্করাও। বড় উৎসব দেখা গিয়েছে বার্সেলোনাতেও। সেখানে সমুদ্রতীরে বিচ পার্টিতে যোগ দিয়েছেন শত শত মানুষ। যদিও কার্ফিউয়ের সময় ২ ঘন্টা বাকি থাকায় পুলিশ শেষবারের মতো কড়াকড়ি করেছে কিছু জায়গায়।
যদিও রাত ১২ টার পরেই মানুষের ঢল নামে রাস্তায়। একে অপরকে জড়িয়ে ধরে নাচ গান করতে থাকেন তরুণরা। নববর্ষ নয়, দেশটি যেন স্বাধীনতা পেয়েছে! সেই স্বাধীনতার উদযাপনেই মেতেছে সকলে।
স্বাধীনতাই তো! এক পড়ুয়া জানাচ্ছেন, বন্ধুরা মিলে একটু একসঙ্গে সময় কাটানো, গান বাজনা করা, বারবিকিউর স্বাদ নেওয়া বা শুধুই হেঁটে বেড়ানো-- এটুকুই অনেক স্পেনবাসীর কপালে এতদিন ঘটেনি। এখন আমরা সেটা পারব। খুশি ঝরে পড়ছে তাঁর গলায়।
স্পেনে ফুটবল চালু আছে, যদিও মাঠে ঢোকার অনুমতি নেই দর্শকদের। কিন্তু বুল ফাইটিং আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। দেশটির ১৭টি আঞ্চলিক প্রশাসনের মিলিত চেষ্টার ফল এই মুক্তি, এমনটাই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
আরও পড়ুন: কোভিড যুদ্ধে ভারতকে ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্য Twitter এর