ওয়েব ডেস্ক: বছর আড়াই আগে মার্কিন মুলুকের আইওয়াতে ঘটেছিল মারাত্মক এক কাণ্ড। ভয়ানক এক বজ্রপাত সটান আছড়ে পড়েছিল ওর গায়ে। ছয় ফুটের মতো উচ্চতা, পুরু মাংসপেশি, মোটা চামড়া, লোম আর হাড় মিলিয়ে বাইসনটার ওজন এক টনের মত। অত ভারী একটা শরীরে বাজ এসে পড়লে ছবি হওয়া ছাড়া আর কী হতে পারে। কিন্তু না এরপরেও বাইসনটার কিচ্ছু হয়নি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আহত হয়ে ক দিন বেশ অসুস্থ হওয়ার পর ফের সেই বাইসনটা বহালতবিয়তে বাঁচতে শুরু করে। বিশাল বপু আর একগুঁয়েমির কারণে বাইসনটি হয়ে উঠেছে দুরন্ত শক্তির প্রতীক। আমেরিকার বন্যপ্রাণী রক্ষা সংস্থা গতকাল বুধবার জানায়, বাইসনটির বয়স এখন ১১ বছর। ওজন ১৬০০ পাউন্ড। শুধু একটু খুঁড়িয়ে হাটে। পরে বাইসনটিকে নেওয়া হয় আইওয়ার নিল স্মিথ জাতীয় বন্যপ্রাণী আশ্রয়কেন্দ্র বা নিল স্মিথ ন্যাশনাল ওয়াইল্ডলাইফ রিফিউজিতে। বজ্রাঘাত সইতে পারায় তার নাম দেওয়া হয় স্পার্কি বা যে বিদ্যুতের স্ফূলিঙ্গকে উপেক্ষা করতে পেরেছে।


সারা বিশ্বে বজ্রপাতের ঘটনা ঘনঘনই ঘটে। বাজ পড়ে মানুষের পাশাপাশি অনেক পশু-পাখিও প্রাণ হারায়। গরু থেকে শুরু করে জিরাফের পাল—এমনকি অন্যান্য বন্যপ্রাণীরও বজ্রাঘাতে মরার কথা শোনা যায়। কিন্তু বাইসনদের এমন সক্ষমতার প্রমাণ মিলল এই প্রথম।


বাইসনদের শক্তি, টিকে থাকার সামর্থ্য বা প্রচণ্ড সহনশীলতা কিন্তু সাহিত্যের রূপকথা নয়। বাস্তবেও এরা প্রচণ্ড পরিশ্রমী ও সামর্থ্যবান। এমনকি বাজ পড়লেও, সেটিকে থোড়াই কেয়ার করতে দেখা গেল এক বাইসনকে!