নিজস্ব প্রতিবেদন:  করোনা আতঙ্কে থরহরি কম্প সারা বিশ্ব। ব্যতিক্রম নেই জাপানও।  তার মধ্যেই শনিবার জোরদার এক ভূমিকম্পের কবলে পড়তে হল সূর্যোদয়ের দেশটিকে। জাপানের আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, শনিবারের ভূমিকম্প যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল। রিখটার স্কেলে যার কম্পাঙ্কের তীব্রতা ছিল ৬.৯। তবে সুনামির কোনও সম্ভাবনা নেই। তাই জারি করা হয়নি সুনামি সতর্কতা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জাপানের ওগাসাওয়ারা দ্বীপের পশ্চিম উপকূলে তীব্র কম্পন অনুভব হয়। প্রশান্ত মহাসাগরীয় 'রিং অফ ফায়ার' অঞ্চলে রয়েছে জাপান। তাই জাপানে ভূমিকম্প নতুন কিছু নয়। প্রায়ই কেঁপে ওঠে জাপান। 'রিং অফ ফায়ার' একটি কাল্পনিক পরিধি, যা  প্রধানত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে ঘিরে রেখেছে। রিং অফ ফায়ারে যেসব অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত হয়েছে সেগুলো পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে ভূমিকম্পপ্রবণ। ভূ-তাত্ত্বিকদের মতে, রিং অফ ফায়ারই বিশ্বের সব ভূমিকম্পের সবচেয়ে বড় কারণ। এই 'রিং অফ ফায়ার' অঞ্চলে বহু সংখ্যক আগ্নেয়গিরি রয়েছে। যার মধ্যে কয়েকটি সক্রিয়, কয়েকটি নিষ্ক্রিয়। এই কারণেই প্রায়শই ভূমিকম্পের কবলে পড়ে রিং অফ ফায়ারের অঞ্চলগুলি।  এশিয়ার জাপান, পলিনেশিয়ার টোঙ্গো, দক্ষিণ আমেরিকার ইকুয়েডর, রিং অফ ফায়ারের অন্তর্ভুক্ত। তাই এসব অঞ্চলও ভূমিকম্পপ্রবণ।


আরও পড়ুন- রমজানে মসজিদে বিশেষ নামাজ পড়ার অনুমতি দিল ইমরান খান সরকার


জাপানের মেটিয়োরোলজিক্যাল এজেন্সি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার ৫টা ২৬ মিনিটে জোরালো কম্পনে কেঁপে ওঠে জাপান। এই কম্পনের উত্‍সস্থল ছিল প্রশান্ত মহাসাগরে। উৎসস্থলের গভীরতা ছিল ৪৯০ কিলোমিটার। ওগাসাওয়ারা দ্বীপের বেশ কয়েকটি স্থানে অন্তত চার বার আফ্টার সক অনুভূত হয়েছে। সেগুলির মধ্যে সর্বোচ্চটির মাত্রা ছিল সাতের কাছাকাছি। ভূমিকম্পের দরুন হতাহতের খবর না মিললেও করোনার জেরে সম্ভব হচ্ছে না মৃত্যু মিছিল রোখা।   জাপানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৮১ জন করোনা আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ১০ হাজার ২৯৬। মারা গেছে ২০০-র বেশি মানুষ।