নিজস্ব প্রতিবেদন— প্রতি সেকেন্ডে ২০০ কোয়াড্রিলিয়ন হিসাব করতে পারে। অর্থাৎ বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ল্যাপটপ—টির চেয়ে ১০ লাখ গুন বেশি শক্তিশালী এই সুপার কম্পিউটার। এবার এই সুপার কম্পিউটার মানবদেহের কোষে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কার্যকর রাসায়নিকের ধারণা দিয়েছে। মারণ ভাইরাস রোধে এই রাসায়নিকের খোঁজ নতুন দিশা দেখাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সমৃদ্ধ এই সুপার কম্পিউটার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর রাসায়নিক যৌগের সন্ধানে কয়েক হাজার সিম্যুলেশন চালিয়েছিল। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৭৭টি যৌগ চিহ্নিত করেছে সুপার কম্পিউটার সামিট। কার্যকারিতার দিকে থেকে ৭৭টি যৌগের একটি ক্রম তৈরি করে ফেলেছে এই কম্পিউটার। ওক রিজ ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির গবেষকরা এই তথ্য দিয়েছেন। গবেষকরা বলেছেন, ভাইরাস যে কোষগুলিকে আক্রমণ করে তাদের স্পাইক দিয়ে। এটি একটি জিন গঠিত বস্তু। একে স্পাইক প্রোটিনও বলে। সামিটের কাজ ছিল এমন একটি রাসায়িনক যৌগ খুঁজে বের করা যেটি এই স্পাইকের সঙ্গে জড়িয়ে যাবে এবং কোষে ভাইরাসের বিস্তার আটকে দেবে। সুপার কম্পিউটার ৮ হাজারের বেশি যৌগের সিম্যুলেশন করেছে এই কাজ করতে গিয়ে। তার মধ্যে ৭৭টি যৌগকে বেছে নিয়েছে সামিট।


আরও পড়ুন— করোনার সংক্রমণ শেষ হতে লেগে যেতে পারে কয়েক বছর, বলছেন বিভিন্ন দেশের চিকিত্সকরা


সেই গবেষণাগারের পরিচালক জেরেমি স্মিথ বলেছেন, আমরা করোনাভাইরাসের চিকিৎসা পেয়ে গিয়েছি, এমন কিন্তু নয়। তবে এই ৭৭টি যৌগ কভিড-১৯ এর চিকিৎসা ও ভ্যাকসিন তৈরিতে কাজে লাগবে বলে আশা করছি আমরা। সেই সঙ্গে করোনাভাইরাস বিস্তার রোধ করতেও এই তথ্য কার্যকর হবে। প্রসঙ্গত, সামিট সুপার কম্পিউটারটি ২০১৪ সালে মার্কিন জ্বালানি বিভাগের পক্ষ থেকে স্থাপন করা হয়েছিল। জটিল সমস্যার সমাধান খুঁজতে এই সুপার কম্পিউটারের সিম্যুলেশন ক্ষমতা কাজে লাগানো হয়।