করোনার সংক্রমণ শেষ হতে লেগে যেতে পারে কয়েক বছর, বলছেন বিভিন্ন দেশের চিকিত্সকরা
এডিনবার্গ ইউনিভার্সিটির সংক্রামক রোগ বিষয়ক অধ্যাপক মার্ক উলহাউজ বলছেন, করোনার প্রতিষেধক টিকা আসতে সময় লেগে যাবে ১২ থেকে ১৮ মাস।
নিজস্ব প্রতিবেদন— কবে নাগাদ মানুষ আবার স্বাভাবিক দৈনন্দিন জীবনে ফিরতে পারবেন? করোনার উদ্বেগজনক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে লাগতে পারে আরও কত দিন! বিভিন্ন দেশের চিকিত্সকমহল বলছে, করোনায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা আগামী তিন মাসে হয়তো অনেকটাই কমে যাবে। কিন্তু করোনার সংক্রমণ পুরোপুরি শেষ হতে লেগে যেতে পারে আরও কয়েক বছর। যেভাবে বড় বড় শহর লকডাউন করা হচ্ছে এবং মানুষের দৈনন্দিন চলাফেরার উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে তা দীর্ঘদিন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। কারণ এতে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক প্রভাব হবে মারাত্মক। আবার এটাও ঠিক, এভাবি বিধিনিষেধ আরোপ না করলে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়তে থাকবে।
এডিনবার্গ ইউনিভার্সিটির সংক্রামক রোগ বিষয়ক অধ্যাপক মার্ক উলহাউজ বলছেন, করোনার প্রতিষেধক টিকা আসতে সময় লেগে যাবে ১২ থেকে ১৮ মাস। এই টিকা গ্রহণ করলে করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে আসলেও মানুষ অসুস্থ হবে না। একটি দেশের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশকে টিকা দেওয়া গেলে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়বে না। তবে এভাবে সব কিছু বন্ধ করে রাখাটা সমাধান নয়। এই অবস্থা থেকে বেরনোর উপায় খুঁজতে হবে সব দেশকে একসঙ্গে মিলে। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, আগামী ১২ সপ্তাহের মধ্যে করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমিয়ে ফেলবে তাঁর দেশ। লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজের অধ্যাপক নিল ফার্গুসন বলেছেন, সংক্রমণের মাত্রা কমিয়ে ফেলতে হবে। যাতে দেশের খুব কমসংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়। আমরা যদি দুই বছরের বেশি সময় ধরে এটা করতে পারি তাহলে দেশের একটি বড় অংশ ধীরে ধীরে আক্রান্ত হবে। কিন্তু এর ফলে স্বাভাবিক নিয়মে রোগ প্রতিরোধ গড়ে উঠবে।
আরও পড়ুন— প্রাণঘাতী করোনার থাবা! ইতালিতে একদিনে মৃত্যু হল পাঁচ চিকিতসকের
ইতিমধ্যে আমেরিকায় এক ব্যক্তির দেহে পরীক্ষামূলকভাবে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হয়েছে। যদিও যে কোনও টিকা আবিষ্কার করার আগে সেটি প্রথমে পরীক্ষা করা হয় কোনও প্রাণীর উপর। এক্ষেত্রে বিশেষ অনুমোদন নিয়ে প্রথমেই মানুষের উপর প্রয়োগ করা হয়েছিল করোনার টিকা। আমেরিকা, চিনের মতো বিশ্বের শক্তিশালী ও উন্নত দেশের বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যে করোনার টিকা নিয়ে পরীক্ষা শুরু করেছে। কোভিড-১৯ এর ওষুধ আবিষ্কার এখন বিজ্ঞানদের কাছে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।