নিজস্ব প্রতিনিধি : বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পেয়েছিল যে গেম। এক ডাকে প্রায় সব গেম-পাগল মানুষ চিনতেন যাঁকে। সুপার মারিও। নামটা শুনলেই যেন অনেক মানুষ শৈশভে ফিরে যান। টিভি ভিডিও গেম-এর সেই জমানায় মনোরঞ্জনের ফোয়ারা ছুটিয়েছিল সুপার মারিও। তার পর তো বহু সময় পেরিয়েছে। এখন গেম-বাজার দখল করে রয়েছে হাজারো আধুনিক গেম। কিন্তু এখনও কিছু মানুষের কাছে সুপার মারিও মানে যেন একটা আবেগ। পড়াশোনায় ফাঁকি দিয়ে, মা-বাবার চূড়ান্ত বকাঝকা উপেক্ষা করেও সুপার মারিওর প্রেমে মজেছেন বহু মানুষ। সেই মারিও এবার চিরনিদ্রায়। জনপ্রিয় ভিডিও গেম সুপার মারিওর মূল চরিত্রটি যার নাম থেকে নেওয়া সেই মারিও সিগেল মারা গেলেন ৮৪ বছর বয়সে। তবে তাঁর জন্য গেমপ্রেমীদের প্রেমটা কিন্তু থেকেই যাবে। কী বলুন! 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  হাইওয়ে থেকে গাছের মগডালে গাড়ি, সেখানেই মহিলাচালক রইলেন ৬ দিন!


সেই সুপার মারিওর নামকরণের পিছনে একটা গল্প রয়েছে। সিগেল ছিলেন ওয়াশিংটনের একজন ভূমি ঠিকাদার।  আটের দশকে নিনটেনডো অফ আমেরিকা- নামক কোম্পানিকে নিজের একটি গুদামঘর ভাড়ায় দেন তিনি। মারিও গেমের জন্ম সেই গুদাম ঘর থেকেই। তার পর সেই কোম্পানি নতুন গেম বাজারে আনার পর অভিনব এক পদক্ষেপ নেয়। নতুন ভিডিও গেমের মূল চরিত্রটির নাম রাখা হবে সিগেলের নামানুসারে। এমনটাই ঠিক করে সংস্থার কর্তারা। সেই থেকেই গেমের বাজার কাঁপাতে শুরু করে সুপার মারিও। আর মারিও সিগেল হয়ে যান বিশ্বখ্যাত।


আরও পড়ুন-  আচমকা দুই তরুণীকে গিলে নিল ফুটপাথ, দেখুন চাঞ্চল্যকর ভিডিও


প্রথমদিকে সুপার মারিও-কে ডাকা হতো 'জাম্পম্যান' নামে। কিন্তু জাম্পম্যান নামটা নিয়ে খুব একটা খুশি ছিলেন না নিনটেনডো অফ আমেরিকা-র কর্তারা। তাঁরা চেয়েছিলেন, গেমের চরিত্রটির নাম বাস্তবসম্মত হোক। সেই সময় কোম্পানির দায়িত্বে ছিলেন মিনোরু আরাকায়া। তিনিই প্রথম সিগেলের নামে তাঁর গেমের মূল চরিত্রটির নামকরণ করার সিদ্ধান্ত নেন। এবং তিনিই প্রথম সিগেলকে সেই কথা জানান। 


একটা সময় ভিডিও গেমের বাজারে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল সুপার মারিও। নিনটেনডো অফ আমেরিকাকে ভিডিও গেইম ফ্র্যাঞ্চাইজ হিসাবে এখনও অন্যতম সেরা হিসাবে ধরা হয়। সুপার মারিওর সর্বশেষ সংস্করণ 'সুপার মারিও ওডেসি' নিনটেনডো সুইচ কনসোলের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া ভিডিও গেইম। এক কোটি ২০ লাখ কপি বিক্রি হয়েছে এই সংস্করণের।