নিজস্ব প্রতিবেদন: সন্ত্রাসবাদীদের মহিমান্বিত করছে পাকিস্তান। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সভায় এভাবেই পড়শি দেশকে বিদ্ধ করলেন সুষমা স্বরাজ। নিউইয়র্কের রাষ্ট্রসঙ্ঘের সভায় নিজের ভাষণে পাকিস্তানকে বিশ্বের সামনে কোণঠাসা করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। বললেন, ''দুনিয়ার কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদীরা পাকিস্তানে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়। সন্ত্রাসবাদীদের মহিমান্বিত করছে পাকিস্তান। তাদের নিয়ে বের হচ্ছে ডাকটিকিট''। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় গতবার পাকিস্তানকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন সুষমা স্বরাজ। তবে এদিন তাঁর বক্তব্য অনেক তথ্যনির্ভর। শুরুতেই ৯/১১-এর মূলচক্রীর লাদেনের কথা স্মরণ করিয়ে সুষমা স্বরাজ বলেন, ''আলকায়দা প্রধান লাদনেকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে খুঁজছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তাকে পাওয়া গিয়েছিল পাকিস্তানে। তারপরেও কোনও অনুতাপ নেই পাকিস্তানের।''


এরপরই সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানকে নিশানা করেন সুষমা। বলেন, ''পাকিস্তানে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে হাফিজ সইদের মতো সন্ত্রাসবাদী। বিশ্বের কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী গৌরবান্বিত করছে পাকিস্তান। তাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীর তকমা দেওয়া হচ্ছে। নৃশংসতাকে বীরত্ব বলে চালাচ্ছে পাকিস্তান। তাদের নামে প্রকাশ করা হচ্ছে ডাকটিকিট''। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বুরহান ওয়ানির নামে ডাকটিকিট প্রকাশ করে পাকিস্তান। 


পাকিস্তান যেভাবে সন্ত্রাসবাদে মদত দিচ্ছে, তা গোটা বিশ্বের জন্য ভয়ঙ্কর তাও মনে করিয়ে দেন সুষমা। বলেন, ''সন্ত্রাসবাদের সংজ্ঞা নির্ণয় করতে হবে রাষ্ট্রসঙ্ঘকে। নইলে একদিন গোটা দুনিয়াকে ধ্বংস করে দেবে সন্ত্রাসবাদ''।  


ভারত আলোচনায় রাজি নয় বলে পাকিস্তান যে অভিযোগ করে, তার সারবত্তা নেই বলেও দাবি করেন সুষমা স্বরাজ। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, ''আমরা চিরকালই আলোচনা চেয়েছি। তবে ভারতের মাটিতে জঙ্গি হামলায় মদত দিচ্ছে পাকিস্তান। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভার ফাঁকে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে সম্মতি দিয়েছিলাম। কিন্তু, সীমান্তে আমাদের জওয়ানদের উপরে হামলা চালাল পাকিস্তান''।   


সুষমা স্বরাজের পরই বক্তব্য রাখবেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ভারতের কূটনীতিবিদরা মনে করছেন, ফের মানবাধিকার ইস্যুকে হাতিয়ার করে তুলবে পাকিস্তান। আর তা আঁচ করেই আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের কথা তুলে ধরলেন সুষমা স্বরাজ। জানালেন, গরিব মানুষদের কাছে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে চাইছে সরকার। এর পাশাপাশি গর্ভবতী মহিলাদের সবেতন ২৬ সপ্তাহের ছুটির কথাও উল্লেখ করেন। ২০২২ সালের মধ্যে ভারতের প্রতিটি নাগরিকের কাছে মৌলিক পরিষেবা পৌঁছানোর সংকল্প নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, তাও বিশ্বমঞ্চে মেলে ধরেন বিদেশমন্ত্রী। বললেন, সন্ত্রাসবাদীদের চেয়ে মানবাধিকারের সবচেয়ে বড় শত্রু কে!    


আরও পড়ুন- কলেজ স্কোয়ারে অষ্টমীর অঞ্জলি দেবেন রাহুল গান্ধী!