জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিশ্ব জুড়ে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের নানা অভিমুখ, নানা পরত। নানা সময়ের নানা ঘটনা। যেমন সদ্য জানা যাচ্ছে, মারা গিয়েছেন ইসলামিক স্টেটস (আইএস)-এর প্রধান আবু হুসেন আল-কুরেশি! সম্প্রতি এমনই দাবি করলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইপ এর্দোয়ান। তাঁর এই ঘোষণার পরে পশ্চিম এশিয়া তো বটেই, সারা বিশ্বেই শোরগোল পড়ে যায়। গত শনিবার একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে এর্দোয়ান একথা জানিয়েছেন বলে জানা যায়। তিনি জানান, পড়শি-রাষ্ট্র সিরিয়ায় ঢুকে আইএস প্রধানকে হত্যা করেছে তুরস্কের সেনাবাহিনী।

 


 

হঠাৎ করেই কি ঘটল এমন দারুণ ঘটনা?

 

না, দেখতে গেলে ঠিক হঠাৎ করে নয়। আসলে নাকি, বহুদিন ধরেই আল-কুরেশির গতিবিধির উপর নজর রাখছিল তাঁর দেশের গোয়েন্দা বিভাগ। আর তারই জেরে শুক্রবার পরিকল্পনামাফিক এই হামলা চালানো হয়েছিল আইএস নেতার ঘাঁটিতে।

 


 

২০১৪ সালের পর আইএস প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদির নেতৃত্বে গোটা সিরিয়া এবং ইরাকে প্রভাব-প্রতিপত্তি ক্রমাগত বাড়িয়েছিল আইসিস। ২০২২ সালে আইএসের নেতৃত্বভার দেওয়া হয়েছিল আল-কুরেশিকে। কিন্তু এই সময়-পর্বে এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ ক্রমশ হারাচ্ছিল আইসিস।

সিরিয়া প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর সিরিয়ার জান্ডারিতে এই বিশেষ অভিযান চালানো হয়েছিল। সিরিয়ার এই অংশটি অবশ্য তুরস্ক প্রভাবিত বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে তুরস্ক এবং সিরিয়ায় ভয়াবহ যে-ভূমিকম্প হয়েছিল, তাতে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলির মধ্যে ছিল এই অঞ্চলও। যদিও এর্দোয়ানের এই দাবির পরে বেশ কিছু ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও এই বিষয়ে মুখ খোলেনি আইএস, মুখ খোলেনি সিরিয়ার সেনাবাহিনী।