Warplanes: চিনকে শাসাতেই কি জঙ্গি বিমান পাঠাল তাইওয়ান?
চলতি বছরের সবচেয়ে বড় অনুপ্রবেশের ঘটনাটি অবশ্য ঘটে জানুয়ারি মাসে। ওই বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা ছিল ৩৯।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আবার কি চিন-তাইওয়ান সংঘাতের বাতাবরণ তৈরি হচ্ছে?
প্রাথমিক ভাবে তাইওয়ানের আকাশসীমায় প্রবেশ করা চিনের ২৯টি যুদ্ধবিমানের একটি বহরকে সতর্ক করতেই জঙ্গি বিমান উড়িয়েছে তাইওয়ান বলে জানা গিয়েছে। চিনের এই বিমানবহরে বম্বারও ছিল। যুদ্ধবিমানের বহরটি দ্বীপটির দক্ষিণ দিক দিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে উড়ে যায়।
মঙ্গলবারই চিনের এই যুদ্ধবিমান বহরটির অনুপ্রবেশের অভিযোগ ওঠে। তাইপেই ও বেজিংয়ের মধ্যে বহমান উত্তেজনারই ঘটনা এটি। মে মাসের পরে তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে চিনের সবচেয়ে বড় বিমানবহর অনুপ্রবেশের ঘটনা এটি।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, চিনের সর্বশেষ এই বিমানবহরে ছিল ১৭টি জঙ্গি বিমান ও ৬টি এইচ-৬ বম্বার। এ ছাড়াও ছিল ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার, সাবমেরিন-বিরোধী এবং আকাশে জ্বালানি সরবরাহকারী উড়োজাহাজ। মন্ত্রণালয় আরও জানায়, চিনের উড়োজাহাজগুলিকে সতর্ক করতেই জঙ্গি বিমান পাঠায় তাইওয়ান। উড়োজাহাজগুলির গতিপথ নজরদারিতে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়।
বহুদিন থেকেই স্বশাসিত দ্বীপ তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে চিন। তাইওয়ানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আকাশ প্রতিরক্ষা চিহ্নিতকরণ অঞ্চল যেটিকে এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোন বা 'এডিআইজেড' বলে সেখানে চিনের বিমানবাহিনীর একের পর এক মিশন পরিচালনার অভিযোগ করে আসছে তাইপেই। অঞ্চলটি তাইওয়ান নিয়ন্ত্রিত এক দ্বীপপুঞ্জের কাছে।
৩০ মে'র পর এটিই ছিল তাইওয়ানের এডিআইজেডে চিনের সব চেয়ে বড় যুদ্ধবিমানবহরের অনুপ্রবেশ। ওই দিন ৩০টি বিমানের একটি বহর এডিআইজেডে ঢুকে পড়ে। চলতি বছরের সবচেয়ে বড় অনুপ্রবেশের ঘটনাটি অবশ্য ঘটে জানুয়ারি মাসে। ওই বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা ছিল ৩৯।
আরও পড়ুন: Afghanistan Earthquake: ভয়াবহ ভূমিকম্প আফগানিস্তানে! মৃত কমপক্ষে ২৫০, আহত বহু