জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতেই গর্ভনিরোধকের ব্যবহারে জোর দেয় পশ্চিমি দুনিয়া। এটি একেবারে মুসলিম বিরোধী ষড়যন্ত্র। আজব এই যুক্তিতে আফগানিস্তানের দুটি শহরে গর্ভনিরোধকের বিক্রি নিষিদ্ধ করল তালিবান। নির্দেশিকা জারির পর ঘরে ঘরে গিয়ে এনিয়ে মানুষজনকে সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ওষুধের দোকানগুলিতেও হানা দিচ্ছে তালিবান।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ভাগ্নি যোগ দিলেন তৃণমূলে, মুখ খুললেন মন্ত্রী উদয়ন গুহ


ক্ষমতায় আসার পর দেশের মহিলাদের পড়াশোনার অবস্থা একেবারেই তলানিতে। উচ্চশিক্ষায় যাওয়ার রাস্তা প্রায় বন্ধ হতে বসেছে। দেশে বিভিন্ন ধরনের চাকরি করতেন মহিলারা। সেখান থেকেও তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার জন্ম নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পড়েছে তালিবান। এক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমকে কাবুলের এক ওষুধের দোকানদার জানান, ওরা আমার দোকানে দুবার এসেছিল। হুমকি দিয়ে গিয়েছে যে কোনও গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট না রাখা হয়। কাবুলের প্রতিটি ওষুধের দোকানে ওরা রোজ তল্লাশি চালাচ্ছে। বাধ্য হয়েই ওই ধরনের ওষুধ বিক্রি আমরা বন্ধ করে দিয়েছি।


কাবুলের এক নার্স ওই দৈনিককে জানিয়েছেন, তালিবানের বক্তব্য হল, আপনি প্রকাশ্যে জন্ম নিয়ন্ত্রণের কথা বলতে পারবেন না। এটা এখন আর চলবে না। অন্যদিকে, আরও এক ওষুধ বিক্রেতার দাবি, জন্ম নিয়ন্ত্রণের ট্যাবলেট বা ইঞ্জেকশন এখন আর দোকানে রাখার আইন নেই। এখনও দোকানে যে স্টক রয়ে গিয়েছে তা বিক্রি কীভাবে কবর তা ভেবে পাচ্ছি না। 


আফগান সমাজকর্মী শবনম নাসিমি বলেন, মানুষের মৌলিক অধিকারে হাত দিচ্ছে তালিবান। মহিলাদের অধিকার, তাদের যৌন জীবনের নূন্যতম স্বাধীনতা এ সবই খর্ব করতে ময়দানে নেমে পড়েছে শাসকদল। 


উল্লেখ্য,দেশের ৬০-৭০ শতাংশ মহিলার একের বেশি সন্তান রয়েছে। এর প্রধান কারণ আধুনিক জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা তাদের কাছে না পৌঁছনো। দেশের অধিকাংশ মহিলাই সন্তান প্রসবের সময়ে আতঙ্কে ভোগেন কারণ উপযুক্ত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ে ওঠেনি। এখন এভাবে গর্ভনিরোধক নিষিদ্ধ হলে পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হয়ে উঠবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)