ওয়েব ডেস্ক: আফিগানিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ শহরের অর্ধেক দখল করল তালিবানরা। আফিগানিস্তান থেকে মার্কিনি নেতৃত্বাধীন সেনা প্রত্যাহারের পর সে দেশে দিন দিন আবরও বাড়ছে তালিবানি তাণ্ডব। তবে, সেনা প্রত্যাহারের পর এই প্রথম কোনও শহরের অর্ধেকের বেশি চলে গেল এই জঙ্গি গোষ্ঠীর দখলে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আফগানিস্তানের উত্তরপূর্বে কুনদুজ শহরের মূল কেন্দ্রে এখন উড়ছে তালিবানি পতাকা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন এই মুহূর্তে শহরে অবাধে ঘুরছে অন্তত ২০০০ সশস্ত্র তালিবানি জনফি। ২০০১ সালের পর আরও একবার আফগানিস্তানে প্রকাশ্যে তালিবানি প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে। 


''শহরের অর্ধেকের বেশি অংশ এখন তালিবানি জঙ্গিদের হাতে।'' জানিয়েছেন উত্তরপূর্ব কুন্দুজ প্রদেশের পুলিস কর্তা সঈদ সারওয়ার হুসানি। 


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি আধিকারিক সংবাদসংস্থা এএফপি-কে জানিয়েছেন ''বিকেল সাড়ে ৩ টে নাগাদ কুনদুজের মূল চত্বরে নিজেদের পতাকা লাগিয়ে যায় তালিবানরা।'' তিনি আরও জানিয়েছেন দেশের মূল গোয়েন্দা দফতর, ন্যাশনল ডিরেকটোরেট অফ সিক্যুইরিটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে এই জঙ্গি গোষ্ঠী। জেল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে গেছে বন্দীদের। 


এই মুহূর্তে অক্ষত শুধু পুলিস সদর দফতর। 


বিভিন্ন সরকারি ভবনগুলোতে ইসলামিক এমিরেটস অফ আফগানিস্তানের (তালিবানিদের অফিসিয়াল নাম) পতাকা টাঙিয়ে দিয়েছে এই জঙ্গি গোষ্ঠী। পতাকা টাঙিয়েছে সরকারি আধিকারিকদের বাস ভবনেও। 


এই মুহূতে ন্যাটোর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দেশের পুলিস ও সেনা বাহিনীর পক্ষে তালিবানদের এভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠা মানসিক চাপ সৃষ্টি করছে। 


মূল শহরগুলিতে তালিবানি কর্মকাণ্ড এতদিন প্রকট না হলেও আফিগানিস্তানের গ্রামাঞ্চলগুলিতে তাদের প্রভাব যথেষ্ট ছিল। বিক্ষিপ্ত নাশকতা চালালেও দখল করতে পারেনি শহরগুলি। এবার শহরের দিকেও সরাসরি ক্ষমতা বিস্তার শুরু করল তারা। 


গতকালই তালিবানি হামলায় পশ্চিম প্রদেশের পাকতিকাতে একটি ভলিবল ম্যাচ চলাকালীক তালিবানি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৩জন। আহত হয়েছেন ৩৩জন।