নিজস্ব প্রতিবেদন : রাশিয়ান বুক অফ রেকর্ডস অনুযায়ী তাঁর বয়স ১২৩ বছর। বিশ্বের বয়স্কতম জীবিত ব্যক্তি ছিলেন তিনি। কিন্তু, এক ঝলক দেখে তা বোঝার উপায় ছিল না। ফিটনেসের দিক দিয়ে নিজের অর্ধেক বয়সীদেরও হেলায় হারিয়ে দিতেন তানজিলিয়া বিসেম্ববেয়াভা। বুধবার দক্ষিণ রাশিয়ার আস্ত্রাখানে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রুশ পত্রিকা সূত্রে খবর, ১৮৯৬ সালের ১৪ মার্চে জন্মান তানজিলিয়া। উনবিংশ, বিংশ, একবিংশ- তিনটি শতাব্দীই দেখেছেন তিনি। তবে, জীবনের শেষ পর্যায়ে এসেও বয়সের ভারে নুইয়ে যাননি তানজিলিয়া। তাঁর পরিবারের দাবি, ১০০ বছর বয়স হওয়ার আগে পর্যন্ত কোনওদিনই সেভাবে মেডিকেল চেকআপ বা ওষুধপত্রের ধার ধারেননি তিনি। ১২৩ বছর বয়সেও রোজ নিজের কাজ নিজেই সেরেছেন তানজিলিয়া। তাঁর এই স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ুর রহস্য কী? "এক মুহূর্ত স্থিরভাবে না বসা!" অকপট জবাব তানজিলিয়ার পরিবারের সদস্যদের। তানজিলিয়ার এক নাতি জানান, ঠাকুমা সবসময় কোনও না কোনও কাজে ব্যস্ত থাকত। কেউ তাকে একটানা শুয়ে-বসে থাকতে দেখেনি কখনও। তবে, দীর্ঘায়ু হওয়ার পেছনে জিনগত প্রভাবও কাজ করে বলে মনে করেন তিনি। 


শুধু তাই নয়, দৈনন্দিন জীবনে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতেন তানজিলিয়া। তার মধ্যে প্রথমটি হল সবরকম নেশার দ্রব্য থেকে দূরে থাকা। খাবারের দিক থেকেও কিছুটা খুঁতখুঁতে ছিলেন তিনি। প্যাকেটের প্রক্রিয়াজাত খাবার নয়, কেবলমাত্র টাটকা, বাড়িতে বানানো খাবারই খেতেন তিনি। তার সঙ্গে দক্ষিণ রাশিয়ার জনপ্রিয় পানীয় ফার্মেন্টেড দুধও পছন্দ করতেন তানজিলিয়া। 


তানজিলিয়ার কর্মজীবনও ছিল বেশ লম্বা। অবসরের বয়স পার হওয়ার পরও বেশ কিছু বছর কাজ করেন তিনি। তার জন্য পান বিশেষ স্বীকৃতিও। 


আরও পড়ুন : টুইটারে বিজ্ঞাপন দিতে পারবে না কোনও রাজনৈতিক দল, ঘোষণা সিইও-র


২০১৬ সালে ১২০ বছর বয়সে রাশিয়ান বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম ওঠে তানজিলিয়ার। বিশ্বের বয়স্কতম জীবিত ব্যক্তির স্বীকৃতি পান তিনি। তবে, সেসব নিয়ে কোনও দিনই ভাবেননি তানজিলিয়া। চার সন্তান, দশ নাতি-নাতনি, ১৩ জন পপৌত্র নিয়ে সুখে সংসার করেছেন বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘজীবি ব্যক্তি।