ভারতকে চাপে ফেলতে বাংলাদেশকে `খয়রাতি` চিনের!
নেপালের পর বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার চেষ্টায় বেজিং।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নেপালের পর বাংলাদেশ। ভারতের সঙ্গে লড়াইয়ে পড়শিদের পাশে পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চিন। বাংলাদেশ থেকে রফতানিকৃত ৯৭ শতাংশ পণ্যকেই শুল্কমুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেজিং। শি জিনপিং সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ঢাকা। সূত্রের খবর, বাংলাদেশি পণ্য শুল্কমুক্ত হওয়ায় চিন-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছল।
লাদাখে চিনা আগ্রাসনের মোকাবিলা করছে ভারত সরকার। পশ্চিম দিকে পাকিস্তান ইতিমধ্যেই চিনের কব্জায়। অতিসম্প্রতি আবার নেপালও ভারতীয় ভূখণ্ডের একাংশ নিজেদের দাবি করে মানচিত্র সংশোধন করেছে। শ্রীলঙ্কা ও ভূটানের সঙ্গেও আগের মতো সম্পর্ক নেই নয়াদিল্লির। মলদ্বীপে কিছুটা হলে জমি পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। এহেন প্রেক্ষাপটে ভারতের অন্যতম বন্ধু রাষ্ট্র বাংলাদেশও আর্থিক সুবিধা দিয়ে কূটনৈতিক খেলায় নেমে পড়ল বেজিং। শুক্রবার বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রক ঘোষণা করেছে, বাংলাদেশ থেকে রফতানি হওয়া ৯৭% পণ্যে শুল্কমুক্ত হয়েছে চিনে। এর মধ্যে রয়েছে মত্স্য ও চামড়ার পণ্য।
এশিয়া প্যাসিফিক ট্রেড এগ্রিমেন্টে চিনে ৩০৯৫টি বাংলাদেশ পণ্য শুল্কমুক্ত। এবার নতুন করে ছাড় দেওয়ায় চিনে নিঃশুল্ক হল ৮২৫৬টি বাংলাদেশি পণ্য। চিন সরকার জানিয়েছে, স্বল্পোন্নত দেশের আর্থিক উন্নয়নে সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তবে শুধু শুল্ক ছাড় তাই নয়, বাংলাদেশে বিনিয়োগও বাড়িয়েছে চিন। মাসখানেক আগে কোভিড-১৯ অতিমারী নিয়ে আলোচনা করেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ তোহিদুল ইসলাম বলেন,''অর্থনৈতিক কূটনীতির অংশ হিসেবে পণ্যে ছাড় দেওয়ার আবেদন করেছিল বাংলাদেশ সরকার। ওই আবেদনে সাড়া দিয়েছে চিনের শুল্ক কমিশন। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ, সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিন।''
আরও পড়ুন- রাজ্যসভায় অপ্রতিরোধ্য বিজেপি, কংগ্রেসের চেয়ে দ্বিগুণ সদস্য