COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ওয়েব ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বপ্ন দেখছেন, কলকাতাকে লন্ডন বানানোর। সে স্বপ্ন কতটা বাস্তবে সত্যি হবে তা নিয়ে বিতর্ক আছে, চলবে, কিন্তু ট্যাক্সি ধর্মঘটে কলকাতা -লন্ডন মিশে গেল। ক মাস ধরেই গঙ্গার ধারের শহর কলকাতায় ট্যাক্সিকে নিয়ে যা চলছে, টেমসের ধারের শহর লন্ডনেও ট্যাক্সি ( পোশাকি নাম ব্ল্যাক ক্যাব) নিয়ে কিছুটা সেই রকম হচ্ছে।



কলকাতার ট্যাক্সিচালকদের মত লন্ডনের ব্ল্যাক ক্যাব চালকরাও সরকারের বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। দুই শহরের ট্যাক্সি চালকদের অভিযোগ সরকারের ট্যাক্সি নীতির বিরুদ্ধে। তবে ফারাক একটাই কলকাতার ট্যাক্সিচালকদের মত রাস্তায় নেমে মিটিং মিছিল নয়, ক্যাবের মধ্যে বসেই প্রতিবাদ করলেন লন্ডনের ট্যাক্সি চালকরা।  


শুধু ট্যাক্সি চালকদের প্রতিবাদ নয়, সাধারণ মানুষের ভোগান্তিতেও মিলল গঙ্গা-টেমসের পাড়ের দুই শহর। 


লন্ডনের ট্যাক্সি (ব্ল্যাক ক্যাব) চালকদের অভিযোগ লাইসেন্সবিহীন মিনি ক্যাব ও মিনি ভ্যানের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুলিস। ফলে তাদের প্রচুর ক্ষতি হচ্ছে, এমনকী এভাবে চলতে থাকলে লন্ডনের রাস্তায় আর ট্যাক্সি দেখা যাবে না বলেও জানিয়েছেন ব্ল্যাক ক্যাব চালকরা।


লন্ডনের ট্যাক্সি চালকদের প্রতিবাদটা কেমন? শহরের প্রাণকেন্দ্র 'সিটি সেন্টারে' একসঙ্গে সব ব্ল্যাক ক্যাব লাইন দিয়ে হাজির করে হর্ন বাজাতে শুরু করা হয়। বিগ বেনের সামনে হউস অফ পার্লামেন্টের রাস্তাতে ধীরে ধীরে সব ট্যাক্সি দিয়ে রাস্তা আটক করা হয়। এই প্রতিবাদের নাম দেওয়া হয় 'স্লো ড্রাইভিং ডেমনস্ট্রেশন' বা 'ধীরে চালাও বিক্ষোভ'।  


লাইসেন্সবিহীন, মোবাইল ফোন ও অ্যাপ-এর মাধ্যমে যুক্ত ‘ব্ল্যাক কার’ সার্ভিসগুলির সঙ্গে যুঝতে সমস্যা পড়া বৈধ ব্ল্যাক ক্যাব চালকরা এর আগেও প্রতিবাদ ও ধর্মঘট করেছিলেন।


ক্ষুব্ধ ট্যাক্সিচালকদের অভিযোগ হলো, তাঁরা এই সব বেসরকারি কার সার্ভিসের তরফ থেকে অন্যায় প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হচ্ছে।