নিজস্ব প্রতিবেদন- বিটকয়েন কেলেঙ্কারি। আর তা নিয়েই গত কয়েকদিন ধরে টুইটার সরগরম। ১৩০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির টুইটার হ্যান্ডেল হ্যাকড। মামুলি কথা নয়। এর আগে এমন কাণ্ড কখনও হয়েছে কি না সন্দেহ! বারাক ওবামা, ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট মনোনীত প্রার্থী জো বিডেন, বিল গেটস, অ্যামাজন-এর সিইও জেফ বোজেস-এর মতো বিশ্বের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের টুইটার হ্যাক করার পিছনে ছিল এক ১৭ বছরের কিশোরের মস্তিষ্ক। টুইটারের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল আগেই। ১৭ বছরের সেই কিশোর আরও বড় প্রশ্ন তুলে দিয়ে গেল। সোশ্যাল মিডিয়া কি আদৌ নিরাপদ! প্রভাবশালী ব্যক্তিদের টুইটার যদি হ্যাক হয় তা হলে সাধারণ মানুষের প্রোফাইল কতটা সুরক্ষিত!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১৭ বছর বয়সী সেই হ্যাকারের নাম গ্রাহাম ইভান ক্লার্ক। টুইটারের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁর সঙ্গে জড়িত ছিল আরও দুজন। নিমা ফাজেলি, বয়স ২২। ম্যাসন শেপার্ড, বয়স ১৯। বিটকয়েন কেলেঙ্কারির মাস্টারমাইন্ড এই তিনজন। এত বড় একখানা কেলেঙ্কারি হওয়ার পর ফেডারাল অথোরিটিজ ট্র্যাক করেছিল ইভান ক্লার্ককে। গত কয়েক বছরে হ্যাকিংয়ে হাত পাকিয়েছে সে। বিশ্বের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অ্যাকাউন্টের যাবতীয় তথ্য তার কাছে চলে এসেছিল স্রেফ হাতযশে। ১৫ এপ্রিল হ্যাকিং-এর এই কাণ্ড গোটা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। এই হ্যাকিং থেকে প্রায় ৭ লক্ষ মার্কিন ডলার উপার্জন করেছে ইভান। এমনই মনে করছে ফেডারাল অথোরিটিজ।


প্রথমে ৪৫টি ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বিটকয়েন চেয়ে ট্যুইট করা হয়। তার পর ৩৬ জন ইউজার-এর মেসেজ অ্যাকসেস হয়। শেষমেশ সাতজন প্রভাবশালী ব্যক্তির টুইটারের সমস্ত তথ্য ডাউনলোড করে ফেলে ইভান। বিটকয়েনকে হাতিয়ার করেই সে কার্যসিদ্ধি করে। প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অ্যাকাউন্ট হ্যাকারদের টার্গেট। কারণ প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কিছু একটা টুইট করলে সাধারণ মানুষ তা বিশ্বাস করে সহজেই। তাই ওই প্রভাবশালী ব্যক্তিদের প্রোফাইল হ্যাক করে সেখান থেকে বিটকয়েন চেয়ে পোস্ট করে ইভান। বলা হয় যে যত বেশি বিটকয়েন পাঠাবে তার দ্বিগুণ ফেরত পাবে।