USA-India: চিনকে `বড় বিপদ` বলে উল্লেখ করে কেন ভারতের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠতার কথা আমেরিকার মুখে?
USA-India: মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন ২০২২ সালের মার্কিন ন্যাশনাল ডিফেন্স স্ট্র্যাটেজি প্রকাশ করেছেন। প্রকাশিত সেই স্ট্র্যাটেজিতেই আগামী কয়েক দশকের জন্য আমেরিকার সব চেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী বলে উল্লেখ করা হয়েছে চিনকে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সামনেই দু'দেশের যৌথ সামরিক মহড়া। আর তার ঠিক আগে তৃতীয় একটি দেশকে সামনে রেখে নতুনতর জোটবন্ধনের বাতাবরণ আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে। চিনের বিরক্তি উৎপাদন করেই আগামী দিনে এক যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে চলেছে আমেরিকা ও ভারত। আর এই প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি চিনকে ঠেকাতে ভারতের দিকে সাহায্য়ের হাত বাড়িয়ে দিতে প্রস্তুত বলে জানাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। জানাল, স্থল ও জল, উভয় ক্ষেত্রেই চিনকে প্রতিহত করতে প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে ভারত-আমেরিকা অংশীদারিত্ব মজবুত করতে বদ্ধপরিকর তারা।
কেন হঠাৎ আমেরিকা এমনটা করতে গেল?
তার কারণও স্পষ্ট নির্দেশ করেছে আমেরিকা। ওয়াশিংটনের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী কয়েক দশকের জন্য কৌশলগত দিক থেকে আমেরিকার সবচেয়ে বড় প্রতিযোগী হতে চলেছে চিন'ই। সব বিষয়ে চিনের বাড়বাড়ন্ত একটু দমিয়ে রাখতে চায় তারা। এই পরিস্থিতিতে তাই ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব আরও গাঢ়তর করতেই ইচ্ছুক জো বাইডেনের দেশ।
আরও পড়ুন: Tomb Of Saint Nicholas: মিলল সান্তা ক্লজের সমাধির খোঁজ! সত্যিই গোপনে উপহার দিতেন তিনি?
সামরিক যৌথ মহড়া কবে? কোথায়?
আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে উত্তরাখণ্ডের আউলিতে সামরিক মহড়ায় অংশগ্রহণ করতে চলেছে আমেরিকা ও ভারত। এরকম দুর্গম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতি বছর সামরিক মহড়া চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে দু'দেশের তরফেই।
এর আগেও একাধিক সামরিক মহড়ায় ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে অংশ নিয়েছে। এবং প্রত্যাশামতোই ভারত-আমেরিকার সেই যৌথ সামরিক মহড়ায় যথারীতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল চিন। চিনের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল, ভারত এক্ষেত্রে চুক্তি লঙ্ঘন করছে। যদিও চিনের এই অভিযোগের জবাবে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক বলেছিল, ভারত-আমেরিকা যৌথ সামরিক মহড়া সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। সীমান্তে অকারণ উত্তেজনার সঙ্গে চিন এই সামরিক মহড়াকে গুলিয়ে ফেলছে।
কিন্তু হঠাৎ করে কেন চিনকে চাপে রাখার কথা বলল আমেরিকা?
না, হঠাৎ করে নয়। চিনা আগ্রাসন ঠেকাতে ও ভারত মহাসাগর অঞ্চলে অবাধ ও উন্মুক্ত প্রবেশের অধিকার নিশ্চিত করতে ভারতের সামরিক ক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন। ২৭ অক্টোবর, বৃহস্পতিবারই মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন ২০২২ সালের মার্কিন ন্যাশনাল ডিফেন্স স্ট্র্যাটেজি প্রকাশ করেছেন। প্রকাশিত সেই স্ট্র্যাটেজিতেই আগামী কয়েক দশকের জন্য আমেরিকার সব চেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী বলে উল্লেখ করা হয়েছে চিনকে। তাই এই স্ট্র্যাটেজিতে বলা হয়েছে-- প্রতিরক্ষক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে আমেরিকার অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় তারা।