Tomb Of Saint Nicholas: মিলল সান্তা ক্লজের সমাধির খোঁজ! সত্যিই গোপনে উপহার দিতেন তিনি?
Tomb Of Saint Nicholas: গবেষকরা জানতেন, তুরস্কের আন্টালিয়া প্রদেশে অবস্থিত চতুর্থ শতকের এক গির্জায় সেন্ট নিকোলাসের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল। কিন্তু, তাঁর মৃত্যুর প্রায় ৭০০ বছর পরে চুরি গিয়েছিল তাঁর দেহাবশেষ।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অবশেষে খোঁজ মিলল 'সান্তা ক্লজ' বা সেন্ট নিকোলাসের সমাধির। আধুনিক যুগে ক্রিসমাসের সময় যে ‘সান্তা ক্লজ’ শিশুদের উপহার দিয়ে যান বলে প্রচলিত রয়েছে, সেই সান্তা ক্লজের চরিত্রের পিছনে অনুপ্রেরণা ছিলেন চতুর্থ শতাব্দীর এই খ্রিস্টান সাধু। ১৬০০ বছরেরও বেশি সময় আগে তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরেই সেন্ট নিকোলাসের সমাধির খোঁজ চলছিল। সম্প্রতি একদল প্রত্নতাত্ত্বিক দাবি করেছেন, তুরস্কে বাইজেন্টাইন যুগের এক গির্জার নীচে সেই সমাধির খোঁজ মিলেছে।
গবেষকরা অবশ্য জানতেন, তুরস্কের আন্টালিয়া প্রদেশে অবস্থিত চতুর্থ শতকের এক গির্জায় সেন্ট নিকোলাসের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল। কিন্তু, তাঁর মৃত্যুর প্রায় ৭০০ বছর পরে চুরি গিয়েছিল তাঁর দেহাবশেষ। তাই কোন নির্দিষ্ট স্থানে তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়েছিল, তা নিয়ে রহস্য ছিলই। কিন্তু, এখন প্রত্নতাত্ত্বিকদের দাবি, ওই গির্জায় নতুন করে খননকাজ করা হয়েছে। আর তারই জেরে সান্তা ক্লজের সমাধিস্থলটি পাওয়া গিয়েছে। ভবনটির সঙ্গে জেরুজালেমের চার্চ অব দ্য হোলি সেপালগারের মিল রয়েছে। চার্চ অব দ্য হোলি সেপালগারেই যিশুখ্রিস্টকে সমাধিস্থ করা হয়েছিল বলে মনে করা হয়। এছাড়া সেখানে একটি ফ্রেস্কো রয়েছে, যা থেকেও সেটি সেন্ট নিকোলাসের সমাধি বলে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে।
প্রত্নতাত্ত্বিকেরা জানিয়েছেন, গির্জাটি তুরস্কের দক্ষিণ উপকূলে, ডেমরে শহরে অবস্থিত। বর্তমান গির্জাটি ৫২০ খ্রিস্টাব্দে একটি পুরনো গির্জার ভিতের উপর নির্মিত হয়েছিল। মধ্যযুগে ভূমধ্যসাগরে জলস্তর বৃদ্ধির কারণে, আগের গির্জাটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। তার পরেই, এর ভিতের উপর নতুন গির্জাটি তৈরি করা হয়। পুরনো গির্জাটিতেই চতুর্থ শতকে সেন্ট নিকোলাস বিশপের দায়িত্ব পালন করেছিলেন বলে দাবি প্রত্নতাত্ত্বিকদের। ২০১৭ সালে নতুন গির্জাটিতে খননকাজ চালানোর সময় এর মেঝেতে ফাঁক খুঁজে পেয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। গত কয়েক বছর ধরে প্রাচীন ভিতটি প্রকাশ করার জন্য, মোজাইকের মেঝেটি অতি সাবধানে সরানোও হয়েছে।
ডেমরে শহরের আগের নাম ছিল মাইরা। ৩৪৩ খ্রিস্টাব্দে সেন্ট নিকোলাসের মৃত্যু হয়েছিল। তারপর তাঁকে মাইরার ওই গির্জায় সমাহিত করা হয়েছিল। তারপর থেকে মধ্যযুগে খ্রিস্টানদের তীর্থস্থান হিসেবে গির্জাটি যথেষ্ট জনপ্রিয়তা লাভ করে। ২৭০ সাল থেকে ৩৪৩ সাল পর্যন্ত বেঁচেছিলেন সেন্ট নিকোলাস। শোনা যায়, দরিদ্রদের গোপনে উপহার দিতেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর পর, ধীরে ধীরে তাঁর ব্যক্তিত্ব থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই সান্তা ক্লজ নামের চরিত্রটির জন্ম বলে মনে করা হয়।