ওয়েব ডেস্ক: এক মাসও পেরোল না। ফের জঙ্গি হানায় রক্তাক্ত ব্রিটেন। গাড়ি দিয়ে পিষে, ছুরি দিয়ে হামলা চালিয়ে অন্তত ৭জনকে খুন করল জঙ্গিরা। আহত অন্তত ৫০জন। পুলিসের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ৩ জঙ্গির। চলতি মাসেই ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচন। তার ঠিক আগে পর পর দুটি জঙ্গি হামলা প্রশাসনের কপালের ভাঁজ আরও খানিকটা চওড়া করল। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১২জনকে গ্রেফতার করেছে লন্ডন পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একের পর এক জঙ্গিহানা লন্ডনে। ভোটের আগে সন্ত্রাসের ছোবল। রক্তাক্ত টেমসের পাড়।


চলতি বছরের গোড়াতেই মার্চ মাসে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে হামলা চালায় জঙ্গিরা। বাইশে মার্চ দুপুরে ওয়েস্টমিনস্টার সেতুর ওপর দিয়ে একটা কালো গাড়ি ছুটে এসে পিষে দেয় পথচারীদের। তারপর পার্লামেন্ট ভবনের রেলিংয়ে ধাক্কা মেরে থেমে যায় গাড়ি।  এরপরেই লম্বা একটা ছুরি নিয়ে গাড়ি থেকে লাফিয়ে নামে চালক। পার্লামেন্ট চত্বরে ঢুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে পুলিসের ওপর।  পুলিসের পাল্টা গুলিতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আততায়ীর। এবার সেই একই ধাঁচে হানা লন্ডন ব্রিজ ও বরো মার্কেটের রেস্টুরেন্টে। পুলিসের গুলিতে খতম ৩ দুষ্কৃতী।


শনিবার রাতের হামলার হাড় হিম করা ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী এক সাংবাদিক। ব্রিজের ওপর প্রায় ৫০ কিমি বেগে ছুটে আসে একটি সাদা ভ্যান। বেপরোয়া ভ্যান রাস্তা ছেড়ে ফুটপাথে উঠে পড়ে। ভ্যানের ধাক্কায় জখম হন ৫ পথচারী।  এরপর ভ্যান থেকে লাফিয়ে নামে ৩ দুষ্কৃতী।  কাছেই বরো মার্কেটের সাউথ ওয়ার্ক স্ট্রিট লাগোয়া একটি রেস্তোরাঁয় ঢুকে পড়ে তারা। বারের মধ্যে শুরু হয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা। ধারালো অস্ত্রের কোপে জখম হন একাধিক মানুষ। খবর পেয়েই বরো মার্কেটে এসে পৌছয় পুলিস। শুরু হয় হয় দুপক্ষের গুলির লড়াই। পুলিসের প্রথমে মনে হয়েছিল বিস্ফোরক বাঁধা পোশাক পরে আছে জঙ্গিরা। পরে অবশ্য বোঝা যায় আসলে সেগুলি ভুয়ো। ঘটনাস্থলেই তিন জঙ্গিকে নিকেশ করে পুলিস।


লন্ডনে জোড়া হামলায় সন্ত্রস্ত শহর। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। পরিস্থিতি মোকাবিলায়  লন্ডন পুলিসের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। এই কাপুরুষোচিত জঙ্গিদের আমরা জিততে দেব না। আমাদের শহর ও লন্ডনবাসীকে ভয় পাওয়াতেও দেব না।


ব্রিটেনকে সমস্ত রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিন্দায় সরব গোটা বিশ্ব। গত ২৩ মে এরিনা স্টেডিয়ামে আত্মঘাতী হামলায় ২২জনের মৃত্যু হয়। তারপরই ম্যাঞ্চেস্টার সহ লন্ডনের অন্যান্য জায়গায় নাশকতার অনুমান করেছিল পুলিস।